আবাহনীর ধাক্কা, মোহামেডানের অঘটন

‘আম্পায়ার্স কল রিভিউ’ এবং বিতর্কে শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। উদ্বোধনী দিনে অঘটনের শিকার হয়েছে ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তারা দেখেছে বড় হার। অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ধাক্কা খেয়ে শুরু করেছে আবাহনী লিমিটেড। ঢাকার তিনটি মাঠে ঘটনাবহুল দিন দেখেছে ডিপিএল।

হারে শুরু আবহনীর

মিরপুর শেরই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ৬ উইকেটে হেরেছে ইমরুল কায়েসদের কাছে। এদিন সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপে পুড়েছেন ইমরুল। তবে তার দল জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আবাহনীর ছুঁড়ে দেয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করে অগ্রণী ব্যাংক। ইমরানউজ্জামান ও সাদমান ইসলাম মিলে আবাহনীর বোলারদের দেখে শুনে রান তুলতে থাকেন। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে দলীয় ৫০ পূরণ করে অগ্রণী ব্যাংক। আবাহনীর বোলারদের বিপক্ষে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইমরুল হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু শতরান থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থামেন। ইমরুল বিদায় নেয়ার খানিক পরই ৪৪ রান করে ফেলেন অমিতও। তবে মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আবাহনী ইনিংসের শুরুতেই পড়ে বিপাকে। পরে শান্ত ফেরেন ধীরগতির ব্যাটিং করে। পারভেজ হোসেন ইমন (৫০) অবশ্য ফিফটি করে ফেরেন। মাঝে চাপে পড়া দলকে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে এগিয়ে নেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে ২৩৪ রানের পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

মোহামেডানকে হারাল গুলশান

লিগ শুরুর প্রথম দিনই নিজের মালিকানাধীন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ১০৭ রানে হেরেছে তামিম ইকবালের মোহামেডান। গুলশানের ৮ উইকেটে ২৯৮ রান তাড়া করতে নেমে ৪০.২ ওভারে  ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বসা ম্যাচে তামিম ইকবাল (২২), মুশফিকুর রহিম(৭), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা (১০) ছিলেন ব্যর্থ। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন আরিফুল ইসলাম। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ৩১ রান। 

ইফতিখারের অলরাউন্ডার নৈপুণ্যেই হেরেছে মোহামেডান। ব্যাট হাতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলার পর ৩টি উইকেট নেন ইফতি। ১১০ বলে খেলা তার ১০৮ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও তিনটি ছক্কার মার। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ইলিয়াস সানি এবং আজিজুল হাকিম তামিম। ২৯৮ রানের লক্ষ্যে তামিমদের দল থামে ১৯১ রানে।

শামিমের ব্যাটে প্রাইমের জয়

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ২১৭ রানের লক্ষ্যে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। সেখান থেকেই প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখে দলকে জেতান শামীম হোসেন পাটোয়ারি। খালেদ আহমেদকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। 

প্রাইম ব্যাংক জিতে যায় ৩২.৪ তম ওভারে। ৮৩ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শামীম। খালেদ অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। এরআগে, রূপগঞ্জের হয়ে দারুণ এক ফিফটি হাঁকান আবদুল মজিদ। আরাফাত সানি ও নাহিদুল ইসলামদের ঘূর্ণির মুখে পড়ার আগে দলকে মাঝের দিকে টানেন তানবির হায়দা। খেলেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান। মজিদের ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান। মাঝে মাহমুদুল হাসানের ২৮, আর শেষদিকে মিরাজ মাহবুব নিলয়ের ব্যাটে দুইশ পেরোয় রূপগঞ্জ। ছোট সেই পুঁজিতেও লড়াই জমিয়ে তুলেছিল রূপগঞ্জ। কিন্তু শামিমের বীরত্বে হার নিয়েই থামতে হয় আল আমিন জুনিয়রদের।