প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫ ১১:১৭ এএম
ম্যাচের শুরুর দিকে মুহূর্তের ঝলকে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এরপরেই যেন ছন্দপতন ঘটে লস ব্লাঙ্কোসদের। সেই সুযোগটাই বেশ ভালোভাবে কাজে লাগায় রিয়াল বেটিস। প্রবল চাপ সৃষ্টি করে জোড়া সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। পূর্বে অনেক ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখা রিয়াল এদিন তেমন কিছুই করতে পারেনি, হতশ্রী ফুটবলে জাগাতে পারেনি কোনো সম্ভাবনাও!
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের দশম মিনিটে ব্রাহিম দিয়াসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই বেটিসকে সমতায় টানেন জনি কার্দোসো। আর দ্বিতীয়ার্ধে স্পট কিক থেকে গোলে ব্যবধান গড়ে দেন ইসকো।
এই ম্যাচ হেরে লা লিগায় বেশ ভালো ধাক্কাই খেয়েছে রিয়াল। তিনে নেমে যাওয়া কার্লো অ্যানচেলত্তির দলের ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এ ছাড়া এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সমান পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা দুইয়ে আছে।
প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিসের মাঠে একেবারে ছন্নছাড়া একটি ম্যাচ খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচজুড়ে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও তাদের আক্রমণভাগে স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি ভিনিসিয়ুস, এমবাপেদের। তাদের খোলসবন্দী দিনে লস ব্লাঙ্কোসরাও তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছে।
দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় এ ম্যাচে খেলতে পারেননি জুড বেলিংহ্যাম। তবুও তারকায় সমৃদ্ধ রিয়াল ধারহীন ছিল ম্যাচের শুরু থেকেই। এরপরই অবশ্য কিলিয়ান এমবাপে পাল্টা আক্রমণে উঠে মেন্ডি হয়ে বল পান দিয়াজ। মরক্কান তারকা এক স্পর্শেই দশম মিনিটে লিড এনে দেন রিয়ালকে।
এরপর স্বাগতিকরা সমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে। তারই জের ধরে ৩৪ মিনিটে কর্নার থেকে জোরালো হেডে কারদোসো বল জালে জড়িয়ে সমতায় ফেরার উৎসবে মাতেন।
বিরতির পর স্বাগতিক বেটিস আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। তাদের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেসুস রদ্রিগেজ ডি-বক্সে ঢুকে পড়লে ঝুঁকি এড়াতে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন অ্যান্টনিও রুডিগার। রিয়ালের জার্মান ডিফেন্ডার উল্টো দলকেই বিপদে ফেলে দেন। রেফারি পেনাল্টি দেওয়ার পর ইসকো স্পট কিকে গোল ব্যবধান ২-১ পরিণত করেন। ২০১৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রিয়ালের খেলা এই স্প্যানিশ তারকা বেশ উদযাপনও করেছেন গোলের পর। তবে পরে ম্যাচ শেষে এর জন্য ইসকো ক্ষমা চেয়েছেন।
পিছিয়ে পড়ার পর লম্বা সময় পেলেও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি রিয়াল। এমনকি জোরালো কোনো সম্ভাবনাও জাগাতে পারেননি ভিনি-এমবাপেদের মতো তারকারা। অতীতে রিয়াল অনেকবারই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখলেও, এদিন ছিল হতশ্রী খেলার মহড়ায়। ১৫ মিনিট বাকি থাকতে বদলি নামা এন্ড্রিক ফেলিপে অবশ্য ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ব্রাজিলিয়ান এই তরুণ বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যের ধারেকাছেও রাখতে পারেননি।