সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

ম্যাচে গোলের সুবর্ণ সুযোগ আগে পেয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের প্রায় নিশ্চিত সেই গোল দু’পায়ে ঠেকিয়ে দেন নেদারল্যান্ডস গোলকিপার অ্যান্দ্রিস নোপের্ট। আর ১০ মিনিটের মধ্যে মেমপিস ডিপে’র গোলে ম্যাচের চিত্র ও গতি-প্রকৃতি ঠিক করে দেয় ডাচরা। ম্যাচ জিতে তারা ৩-১ গোলে।

সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে নাম লেখালো কোয়ার্টার ফাইনালে। আর বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হলো আমেরিকার। তারুণ্য নির্ভর আমেরিকার দলটি এই বিশ্বকাপে যে উচ্চমানের ফুটবল খেললো তাতে নিশ্চিতভাবে এই দলটির সামনে সুসময় অপেক্ষা করছে।

মেমপিসের শুরুর এই গোলে এগিয়ে থাকার পরই নেদারল্যান্ডসকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। বিরতির আগেই স্কোরলাইন ২-০ হলো। ম্যাচ শেষে তা দাঁড়ালো ৩-১।

৪ গোলের এই কোয়ার্টার ফাইনালে সবচেয়ে সুন্দর গোলের মর্যাদা পাচ্ছে মেমপিসের করা ম্যাচের প্রথম গোল। নিজেদের মধ্যে দারুণ পাস ও বোঝাপড়ায় ডেনজেল ডামফ্রাইসের ক্রসে মেমপিস চমৎকার গোল করেন। ২১ পাসে আসা এই গোলটি জানিয়ে দিলো কোয়ার্টার ফাইনাল জিততেই মাঠে নেমেছে নেদারল্যান্ডস।

৩-১ এর এই স্কোরলাইন ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের দাপটের কথা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র লড়াইটা জোরদার চালায়। 

দ্বিতীয় গোল হজম করার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচে ফেরার জোর চেষ্টা চালায়। তরুণদের নিয়ে গড়া আমেরিকার দলটি বারবার নেদারল্যান্ডসের সীমানায় উঠে আসে। কিন্তু ফাইনাল থার্ডের বাধা তারা পার করতে পারেনি। এরই মধ্যে পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নেদারল্যান্ডস লিড ২-০ করে নেয়। ৪৬ মিনিটে গোল করেন ডেলেই ব্লাইন্ডস।

বিরতির পর আমেরিকা এক গোল শোধ করে নেদারল্যান্ডস শিবিরে খানিকটা টেনশন ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আমেরিকার ডিফেন্স কিছুটা আলগা হয়ে পড়ে। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৮১ মিনিটের সময় ডামফ্রাইস ফাঁকায় পাওয়া বলে বাম পায়ের ভলি শটে আমেরিকার জাল কাঁপান (৩-১)।

ম্যাচ মুলত ওখানেই শেষ। ম্যাচের বাকি সময় আমেরিকা গোল শোধের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের শক্তপোক্ত ডিফেন্স আর টলাতে পারেনি তারা।