প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৫ পিএম
ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের কাবাডি টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার ছিল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। এই ম্যাচে সফরকারীদের হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে দুই দলের মধ্যকার প্রীতি সিরিজে খেলা ছাপিয়ে আলোচনায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল। রেফারি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান নেপালের খেলোয়াড়রা। কাবাডি মাঠে এমন দৃশ্য মেনে নিতে পারেননি আগত শ’কয়েক দর্শকও।
ঘটনা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। বাংলাদেশ এগিয়ে তখন ৩৯-৩৮ ব্যবধানে। স্বাগতিকদের জন্য জয়টা তখন অবশ্যম্ভাবীই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে রেফারির নেওয়া একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে। বাংলাদেশের খেলোয়াড় আল আমিনকে নিজেদের কোর্টে ক্যাচ (আটকে ফেলা) করে দেয় নেপাল। রেফারিও বাঁশি বাজান, রেইডার সে হিসেবে ডেড; কিন্তু আল আমিন এরপরই স্পর্শ করেন লাইন। তাতে নেপালের তিন খেলোয়াড়কে বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পায় তিন পয়েন্ট। এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে আপত্তি জানায় অতিথি দলটি। এ সময় খেলাও বন্ধ থাকে ৮-৯ মিনিটের মতো।
পরবর্তীতে রিভিউ-তেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত, নেপাল ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বেরিয়েও যায় কোর্ট থেকে। পরবর্তীতে তাদেরকে বুঝিয়ে কোর্টে ফেরানো হলেও খেলায় আর পূর্ণ মনোযোগ দেয়নি দলটি। যেন কোনোমতে সময় শেষ করতে পারলেই বাচে। ওই সিদ্ধান্তের পর নেপালের কোর্টে খেলোয়াড় বাকি ছিল স্রেফ একজন, সে-ও কোর্ট থেকে পরে বেরিয়ে যায়, তাতে লোনাসহ আরও দুই পয়েন্ট পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি নেপাল হারে ২৪-৪৯ ব্যবধানে।
ম্যাচ হারের পর কোর্টে দাঁড়িয়ে নেপালের কোচ লোক বাহাদুর বিস্ট রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেছেন, ‘আজকের ম্যাচে (গতকাল) রেইডার ডেড হয়ে যায়, রেফারিও বাঁশি বাজায়, এরপর সে (আল আমিন) দাগ স্পর্শ করলে কী আসে-যায়। এখানে পরিষ্কার এক পয়েন্ট থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের তিন ডিফেন্ডারকে মাঠের বাইরে পাঠানো হয়। এটা কোনোভাবেই ভালো রেফারিং হতে পারে না।’
কোচের অভিযোগের সময় পাশ থেকে নেপাল দলের সদস্য নিরাজান শ্রেষ্ঠ বলে ওঠেন তারা (রেফারি) প্রথম ম্যাচ থেকেই পক্ষপাতিত্ব করে আসছে। এ ছাড়া নেপালের খেলোয়াড়দের ইচ্ছাকৃত ইনজুরড করার প্রবণা ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের, এমন কথাও বলেন তিনি। নিরাজানের কথা ধরেই লোক বাহাদুর বলেন, ‘তারা (রেফারি) যেভাবে প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের ইচ্ছা-খুশি রেফারিং করেছে, এটা কাম্য নয়।’ এরপর নেপালের কোচ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেনÑ এমন রেফারিং করলে নেপালে আতিথেয়তা দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা ৫-০ ব্যবধানে হারাব।
এদিকে নেপালের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যাচ মো. আব্দুল হক। তিনি বলেন, ‘এখানে রেইডার (আল আমিন) যখন লাইনে হাত ছোঁয়ায় ঠিক একই সময় বাঁশি বাজান রেফারি। সিদ্ধান্ত নিয়মানুযায়ী নেওয়া হয়েছে।’