চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১১ পিএম
এই দুজনের জুটিতে বাংলাদেশ দুইশ রানের সংগ্রহ পেরিয়েছে— সংগৃহীত ছবি
ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারের একচিত্র, বাকি সময়ে আরেকটি। ভারতের বিপক্ষে দুটি দিকই দেখেছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের পুরোনো রোগ এবং মিডলের লড়াই। সেই লড়াইয়ের নায়ক আবার দুজন—তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ধংসস্তুপ থেকে দলকে টেনেছেন এই দুজন। একজন হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি, অন্যজন ফিফটি।
তার আগে, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম দেখেছে শুধু ব্যাটারদের আসা-যাওয়া। টাইগারদের হতশ্রী ব্যাটিং, দায়িত্বহীন শট এবং নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসে তোপ দাগেন মোহাম্মদ শামি। ফাইফার পেয়ে প্রত্যাবর্তন রাঙান এই তারকা পেসার।
ট্রফির মিশনে ব্যাটিং নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুবাইয়ের রানপ্রসবা উইকেটে পরে দেখান ব্যাটিংয়ের হতশ্রী দিক। ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ফেরেন শূন্য রানে। তিনে নেমে শান্ত বরং দলের চাপ বাড়িয়েছেন। লড়তে চেষ্টা করা মেহেদী হাসান মিরাজও (৫) পড়েছেন মুখথুবড়ে। তানজিদ হাসানও (২৫) রান বড় করতে পারেননি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর ফিরেছেন ডাক মেরে। ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টিম টাইগার্স। এরপরের গল্পে তাওহীদ ও জাকের।
হৃদয়ের হৃদয়কাড়া সেঞ্চুরিটি আসে ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে। তার আগে ধংসস্তুপে দাড়িয়ে জাকেরকে নিয়ে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। ২০৬ বলের সেই লড়াইয়ে ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন জাকের। ৯২ বলে হৃদয় আনেন ৮০ রান। ভিত গড়ে দেওয়া সেই জুটি ভেঙে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন মোহাম্মদ শামি। ম্যাচে এর আগে ও পরে আরও চারজন টাইগার ব্যাটারকে হতাশায় ডোবান ভারতের তারকা এই পেসার। কদিন আগেও শামির এই আসরে খেলার কথা ছিল না। অথচ তিনিই ধসিয়ে দিয়েছেন টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার।
ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে সৌম্যকে বোকা বানান শামি। তার ইনসাইড হয়ে আসা বলটি বুঝতেই পারেননি টাইগার ওপেনার। এরপর মিরাজের লড়াই থামান। পরের স্পেলে গুড়িয়ে দেন বাংলাদেশের স্বপ্ন। ততক্ষণে নায়োকোচিত ইনিংস খেলে ফেলেন জাকের ও হৃদয়। লম্বা জুটিতে ধস থেকে টেনে নেন ১৮৯ রান অবধি। জাকের ফিরিয়ে ২০০ ওয়ানডে উইকেটের রেকর্ড গড়েন শামি। এরপরও থামেননি। দ্বিতীয় স্পেলে তিনি ফেরান আরও দুই টাইগার ব্যাটারকে। জাকেরের পর শামির সুইং আর গতিতে পরাস্ত হন তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশকে ভোগাতে তিনটি উইকেট নেন হার্ষিত রানা ও দুটি শিকার অক্ষর প্যাটেলের।
শামিকে বাইরে রাখলে দুবাইয়ের দিনটি হৃদয়ের। ৮০ রানে চোট পাওয়া টাইগার ব্যাটার লড়েছেন, দলকে এগিয়ে নিয়েছেন গড়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ৩৩ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর আগে কখনও সেঞ্চুরি করেননি হৃদয়। এরআগে সর্বোচ্চ ৯৬* রান করেছিলেন। গতকাল ভুল করেননি। ব্যথায় কুড়কে উঠেছেন, শুয়ে পড়েছেন এবং এক সময় ব্যথানাশক ওষুধও খেয়েছেন—তবুও লড়াই থামাননি। বাংলাদেশকে ২২৮ রান পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে থামেন হৃদয়। বাংলাদেশও থামে সেখানে।