প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৭ পিএম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আগেই বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবুও বাইশ গজের মায়া এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। বাঁহাতি এই ওপেনার এখনও খেলে যাচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। বিপিএলের সবশেষ দুই আসরে তার নেতৃত্বেই ফরচুন বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সিতে দেখা যাবে তামিমকে। তবে এবার শুধু ক্রিকেটার পরিচয় নিয়েই নন, ড্যাশিং এই ওপেনারকে দেখা যাবে সংগঠকের ভূমিকায়ও।
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে ডিপিএলে উঠে আসা নতুন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। এই ক্লাবটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। আর সভাপতির পদে বসছেন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান। এর আগে দুজনের কেউই ক্লাবটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাই প্রশ্ন উঠছে, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব কি তবে বিক্রি হয়ে গেছে? ক্লাব সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিক্রি নয় বরং বিনিয়োগকারী হিসেবে তারা ক্লাবের পরিচালনার পরিষদের যুক্ত হয়েছেন। পুরনো মালিকদের সঙ্গে নতুন মালিক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তারা।
ডিপিএলের নতুন এই দলে ইতোমধ্যে প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কোচের পাশাপাশি ক্লাবটির মালিকানায়ও আছেন তিনি। যিনি দীর্ঘ এক যুগ ছিলেন ঐতিহ্যবাহী আবাহনীর প্রধান কোচের দায়িত্বে। ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবার বড় আসর ডিপিএলে জায়গা করে নেয় তাদের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবটি। লড়াই করার মতো দল গড়তে হলে প্রয়োজন বড় বিনিয়োগের। সে কারণেই সুজনের মধ্যস্থতায় শেষ তামিম ও মিজানুর রহমান ক্লাবটিতে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছেন। তারা দুজনেই দল পরিচালনার আর্থিক দিক সামলাবেন।
বিনিয়োগকারী হিসেবে ক্লাবের ম্যানেজমেন্টে যুক্ত হলেও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতির পদে কেন থাকছেন না তামিম? এমন প্রশ্নের জবাবে এক গণমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘যেহেতু সে এখনো খেলার মধ্যে আছে। প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলবে; তাই একই বছর একই লিগে অন্য একটি দলের সভাপতি পদে থাকা কেমন দেখায়? হয়তো সেটা ভেবেই তামিম সভাপতি হবে না। প্রাথমিকভাবে মিজান ভাইকে হয়তো সভাপতি হবেন।’
গত কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন রয়েছে চাচা আকরামের খানের পর তামিমও বিসিবির পরিচালক হতে যাচ্ছেন। এমনকি বিসিবির সভাপতির চেয়ারেও তার চোখ রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এমন সময়ে কোনো ক্লাবের বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হওয়াতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, তবে কি কাউন্সিলর হতেই এই আয়োজন? যদিও তামিম বাইশ গজ থেকে এখনও বিদায় নেননি। ব্যাট-প্যাডও তুলে রাখেননি। নিজেও আগে জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। তাই এখনই বিসিবির কাউন্সিলর হিসেবে তাকে দেখা যাবে না।
এই বিষয়ে নিজেও কিছু ভাবেননি জানিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তামিম বলেছেন, ‘কাউন্সিলর আমি হব নাকি মিজান ভাই হবেন সেটা এখনও ভাবিনি। তাই এখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। তবে আমরা দুজনেই ক্লাবটিতে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছি। আপাতত এটাই শেষ কথা।’