প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৪ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৫ পিএম
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে সব ধরনের ক্রিকেট ও ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ফিক্সিং সংক্রান্ত পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে এই শাস্তি পেয়েছেন তিনি। আজ আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন সোহেলী।
সোহেলী জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার খেলেছেন ২০২২ সালে। তবে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশের লতা মন্ডল নামের একজন ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার নিষেধাজ্ঞা গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লতাকে মোবাইল ফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান। সেসময় বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান। ওই ক্রিকেটার অবশ্য অসাধু পথে পা নিয়ে দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানায়।
অ্যান্টি করাপশনের যেসব বিধিগুলো লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন সোহেলি—২.১. ১ ধারায় ম্যাচ ফিক্সিং বা যেকোনো উপায়ে খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্যান্য দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে জড়িত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত। ২.১. ১ ধারা লঙ্ঘনে আছে, ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজি সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য ঘুষ বা অন্য কোনো পুরস্কার গ্রহণ, গ্রহণে সম্মতি প্রদান, প্রস্তাব করা বা গ্রহণের চেষ্টা করা।
২.১. ৪ ধারায় অন্য কোনো অংশগ্রহণকারীকে ওপরের যে কোনো বিধান লঙ্ঘনের জন্য প্ররোচিত করা, উৎসাহিত করা, নির্দেশনা প্রদান করা বা কোনোভাবে সহায়তা করা। ধারা ২.৪. ৪, অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে (এসিইউ) বিলম্ব না করে দুর্নীতির জন্য করা কোনো প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
ধারা ২.৪. ৭-এ আছে অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটকে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা বা বিলম্ব করা, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র বা অন্যান্য তথ্য গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করাও অন্তর্ভুক্ত।
দুই বছর আগে সেই স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের খেসারত এবার আরও বড় করে গুনতে হচ্ছে সোহেলীকে। লতা ও তার সেসময়ের কথোপকথনের অডিও প্রকাশ হলে বেশ হইচই হয় দেশের ক্রিকেটে।
সোহেলীর সেসময় জানান, আকাশ নামে এক জুয়াড়িকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এত দূর গড়াবে, বুঝতে পারিনি। ফেসবুকে পরিচিত হওয়া আকাশ স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বলেছিলাম, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটাররা এ রকম কিছু করে না। সেটা প্রমাণ করতেই আমি লতাকে প্রস্তাবটা দিই। লতা সঙ্গে সঙ্গে ভয়েস মেসেজ দিয়ে প্রমাণ করে দেয় মেয়েরা এসবে জড়িত না। আমার কাছে আকাশের সঙ্গে মেসেঞ্জারের সব লেখা রয়েছে। সেগুলো আকসুকে (এসিইউ) দেখাব। যা যা হয়েছে সেগুলো বলব।’
তবে শেষ রক্ষা হয়নি সোহেলীর। নিষেধাজ্ঞার খগড় নেমে এসেছে তার ক্যারিয়ারে।