প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৫ পিএম
রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি একুশে পদক। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার। ক্রীড়াঙ্গন থেকে একুশে পদকের জন্য সাধারণত মনোনয়ন দেওয়া হয় না। এবার সেই রীতিতে বদল এসেছে। একুশে পদকের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল মনোনীত হয়েছে।
গত এক যুগ ধরে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ
দারুণ সাফল্য পেয়ে আসছে। বয়সভিত্তিক ফুটবল ছাড়াও সিনিয়রদের আসরে একের পর এক ট্রফি ধরা
দিয়েছে তাদের হাত ধরে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তো টানা দুবার ২০২২
ও ২৪ আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুটিই ছিল নেপালের কাঠমান্ডুতে।
একুশে পদক পাওয়ায় খবর শুনে বাংলাদেশ
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন উচ্ছ্বসিত, ‘একুশে পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই পুরস্কারের জন্য আমাদের মনোনীত করায় সরকারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের এই পুরস্কার
শুধু নারী দল নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি।’
সাবেক ক্রীড়াবিদ ও বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার
আব্দুল হামিদ একুশে পদক পেয়েছিলেন। তবে তার সেই স্বীকৃতি ছিল মূলত ক্রীড়া সাংবাদিকতার
জন্য। দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম এবং বড় স্বীকৃতি। স্বাধীন
বাংলা ফুটবল দলও এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি।