প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৪ পিএম
প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলার। ছবি: সংগৃহীত
সাবিনা খাতুনসহ ১৮ জন ফুটবলারের সঙ্গে প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলারের সমস্যা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সাত সদস্যবিশিষ্ট সেই কমিটি গত দুই দিন ১৮ ফুটবলারের বক্তব্য শুনেছে। প্রথম দিন ৭ জন এবং দ্বিতীয় দিন সোমবার ১১ জন ফুটবলারের কথা শুনেছেন কমিটির সদস্যরা। এরপর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাটলারকে ডেকেছে কমিটি। সেখানে মুখোমুখি হওয়ার আগেই এদিন সকালে ৩১ জনের পূর্ণাঙ্গ দল নিয়ে অনুশীলন করেছেন এই ইংলিশ কোচ।
বাটলার যখন নতুনদের নিয়ে অনুশীলনে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় এই তরুণ খেলোয়াড়দের সিনিয়র সতীর্থরা হচ্ছেন বুলিংয়ের শিকার। মাতসুশিমা সুমাইয়াসহ একাধিক ফুটবলারকে হত্যা এবং ধর্ষণের মতো হুমকি দিচ্ছেন কে কারা। এ নিয়ে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে আগেবঘন স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ফরোয়ার্ড সুমাইয়া। এ নিয়ে বাফুফের অবস্থান কি সেটি জানা যায়নি। অনেকেই বিষয়টি নিচ্ছেন না ভালোভাবে।
এদিকে বিদ্রোহী ফুটবলারদের আচরণে ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ কোচ বাটলার। এক দিকে বাটলারের অপসারনে অনড় সাবিনারা। অন্যদিকে সিনিয়র ফুটবলারদের দলে না নিতেও অনড় এই কোচ। ফলে নতুনদের দিকেই মনযোগ দিচ্ছেন বাটলার। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নতুন ফুটবলারদের অনুশীলনে ডেকেছেন তিনি। যাদের নিয়ে সাজাতে চান আগামীর বাংলাদেশ।
দুদিন আগেও বাটলারের অনুশীলন ক্যাম্প ছিল ভাঙ্গাহাট। কিন্তু মঙ্গলবার সেই ভাঙ্গাহাটই যেন রুপ নিল পরিপূর্ণতায়। পুরো ৩১ জন ফুটবলারই ছিলেন ব্রিটিশ কোচের পাঠশালায়। সিনিয়র দলে থাকা ১২ জনের সঙ্গে এখন যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনী ও বিকেএসপির বেশ ক’জন ফুটবলাররা। এরা মূলত অনূর্ধ্ব-২০ দলের। বিকেএসপির মহাপরিচালক আসার পরও সাবিনাদের সঙ্গে বয়কটে থাকা বিকেএসপির শিক্ষার্থী তিন ফুটবলার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। সাবিনা, কৃষ্ণারানী, সানজিদাসহ ১৮ ফুটবলার বাটলারের অনুশীলন বয়কট করে চলছেন। তাদের বিকল্প তৈরি ও পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন করতেই বাটলার জুনিয়রদের তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
এ বছরের মে মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। অনেকের ধারনা এ কারনেই তার অনুশীলন ক্যাম্প। কেবল সেনাবাহিনী ও বিকেএসপিই নয়, গত বছর সাফের আগে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল, বাফুফে এখন বাধ্য হয়ে তারেকেও ফেরাতে চাইছে। সাফে বাদ পড়া আনাই মোগিনী সুদূর রাঙামাটি থেকে এই জানিয়েছেন, ‘আমাদের একটি হোয়াইটসআপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানেই আমাকে এবং বাদ পড়া ছয়জনকে ডেকেছিল বাফুফে। আমি যাইনি। যেখানে সম্মান নেই সেখানে না যাওয়াই ভাল। তবে অন্যরা গিয়েছে কিনা আমি জানি না।’ বাফুফের সূত্র বলছে, আজ (বুধবার) বাফুফে ভবনে আসার কথা রয়েছে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের। তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলার জন্যই ক্যাম্পে এখনো রয়েছেন বিদ্রোহী ফুটবলাররা।