প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৬ পিএম
সমস্যাটা হঠাৎ করে নয়, সর্বশেষ সাফ টুর্নামেন্ট শুরু থেকেই কোচ জেমস পিটার বাটলারের সঙ্গে ‘ঝামেলা’ চলছিল নারী ফুটবলারদের। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই নেপাল থেকে বেরিয়ে আসে নারী ফুটবলের অন্দরমহলের নানা কথা। মোটকথা, বাটলারকেই চাচ্ছিলেন না মেয়েরা। যদিও ফুটবলারদের সেই কথায় কান দেয়নি বাফুফে। নতুন করে দুই বছরের জন্য পিটার বাটলারকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার এবং গতকাল বুধবার অনুশীলন বয়কট করেছেন বেশ কয়েকজন নারী ফুটবলার। এসব নিয়ে গতকাল দুপুরের দিকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিল্টন। তবে কোচের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের এই সমস্যার বিষয়ে মুখোমুখি হয়ে সরাসরি কিছু না বললেও সাবিনা খাতুন ও মারিয়া মান্ডাদের প্রতি কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন হিল্টন, ‘খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে তো আর ফেডারেশন চলবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট আছে, নির্বাহী কমিটির সদস্যরা আছেন তারা সকলে মিলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে (কোচ নিয়োগ)। আর তাই এখানে খেলোয়াড়দের কোনো কথা চলবে না।’
অথচ বাফুফের ব্র্যান্ড এখন নারী ফুটবল। সর্বশেষ দুই আসরে সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। যেখানে ফুটবলে ছেলেদের সাফল্য দিনকে দিন তলানির দিকে সেখানে মেয়েরা একের পর এক দেশকে ভাসিয়েছেন আনন্দের জোয়ারে। কিন্তু সেই নারী ফুটবলারদের কোচের বিষয়ে দাবির প্রসঙ্গে বাফুফের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তÑ বাটলারের অধীনেই মেয়েদের অনুশীলন করতে হবে। এদিকে বাটলারের অধীনে মেয়েদের অনুশীলন না করার প্রশ্নে হিল্টন বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ খেলার মধ্যে কিছু ছোটখাটো সমস্যা থাকে, থাকতেই পারে এটা আমরা দ্রুত সময়েই মিনিমাইজ (ফয়সালা) করে দিব।’
টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান এখানে সামনে এনেছেন শৃঙ্খলার বিষয়। কঠিন বার্তাও দিয়েছেন নারী ফুটবলারদের প্রতি, ‘খেলোয়াড়দের মতামতের বিষয়টা অন্য জায়গায়। এখানে শৃঙ্খলার বিষয় আছে। অনেক বিষয় আছে। এখানে তো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কম্প্রোমাইজ করবে না।’ সংবাদমাধ্যমে অনুশীলন বয়কটের খবর বেরোলেও এক নারী ফুটবলার অবশ্য বলেছেন, বুধবার তাদের সিডিউলে কোনো অনুশীলনই ছিল না, কেবল জিম সেশন ছিল। আর সেটা তারা প্রত্যেকেই করেছেন বলে জানান জাতীয় দলের ওই নারী ফুটবলার। এদিকে দলের কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারের মতামতে অন্য মেয়েরা চলছে বলে দাবি এক বাফুফে কর্মকর্তার।