প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৪ পিএম
ক্রীড়ায় দেশের সবচেয়ে বড় দুটি সংস্থা বা ফেডারেশনের অন্যতম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), অন্যটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাধারণত এখান থেকে সভাপতিরা অপসারিত হলে কিংবা স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেও আর তারা সংস্থামুখী হন না। সেখানে অবশ্য ব্যতিক্রমই বলা যায় কাজী মো. সালাহউদ্দিনকে। বাফুফের সাবেক সভাপতি নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পর এলেন দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থায়। যাওয়ার আগে আবদার পূরণ করেছেন সাংবাদিকদেরও। কথা বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল, নতুন কমিটি এবং আসন্ন সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট নিয়ে।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে হঠাৎই বাফুফে ভবনে আসেন কাজী সালাহউদ্দিন। ফেডারেশনে ছিলেন প্রায় ঘণ্টা তিনেক। যাওয়ার আগে কথা বলেছেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে। এদিন অবশ্য বর্তমান সভাপতি তাবিথ আওয়াল ফেডারেশনে ছিলেন না।বর্তমান সভাপতি অবশ্য দেশেই নেই, জানা গেছে বর্তমান সভাপতি আছেন ইংল্যান্ডে। তবে নতুন কমিটির ঘোষিত প্ল্যান কতটা বাস্তবায়ন হতে পারে বলে জানতে চাওয়া হয় সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিনের কাছে। নতুন কমিটিকে নিয়ে ইতিবাচক কথাই শুনিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন, ‘আসলে আমি জানি না কি হচ্ছে, গণমাধ্যম হোক আর যাই হোক আমি ফলো করি না। তাই এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, অবগত নই। তবে খারাপ করার তো কোনো কারণ নেই। তারা তো ফুটবলের সঙ্গেই ছিলেন।’
বাফুফে ভবনে কাজী সালাহউদ্দিন এসেছিলেন মূলত সাফের কিছু কাজ থাকায়। বাফুফে সভাপতি না থাকলেও ফুটবলের সঙ্গেই আছেন তিনি। সাফের বর্তমান সভাপতিও তিনি। বাফুফে আসা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দীন জানান, এখানে নিজের বাসায় আসছি। মূলত এখানে কিছু কাজ ছিল। এরা (বাফুফে) চাচ্ছে সাফের কিছু টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে, সে কারণে এসেছি কীভাবে এটা তাদের দেওয়া যায়। সব দেশই তো চাইবে; কিন্তু আমার তো চাওয়া থাকবে এটা (সাফের হোস্ট) বাংলাদেশ পাক।’
সাফের টুর্নামেন্টটি এবার অন্য আঙ্গিকে করতে চায় সাফ কমিটি। সাফ এবার প্রথমবারের মতো হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট করতে চায়। এটা কঠিন হলেও বাংলাদেশ ও ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘এ রকম করার চেষ্টা অনেক দিনের। এই ভিত্তিতে খেলা হলে বাংলাদেশ ও ভারত কর্মাশিয়ালি বেশি বেনিফিট পাবে। এটা বাস্তবায়ন করা কঠিনও। ভারত-পাকিস্তানের ভিসা ইস্যু আবার এখন বাংলাদেশের সঙ্গেও (ভারত)। এই আসাটাকে একটু অন্যভাবেই উপস্থাপন করেছেন তিনি, ‘ফুটবল ওয়াজ মাই লাইফ, দিস ইজ দ্য হোম অব ফুটবল (বাফুফে)। দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রতিযোগিতাকে ‘বাণিজ্যিকভাবে করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এই দুই দেশে স্পোর্টসের একটা স্ট্রাকচার আছে। অন্যরাও পারবে, তবে এখানে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা তা হলো ভিসা সমস্যা। এটা নিয়ে তিন দলের একটা লড়াই চলছে; আমরা কাজ করছি, দেখা যাক কী দাঁড়ায়।’
এদিকে, সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই বাংলাদেশের লাল সবুজের জার্সিতে দেখা যাবে হামজা চৌধুরীকে। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্সের ম্যাচে সামনে ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হামজাকে পাওয়ার জন্য তার ক্লাব লেস্টার সিটিতে চিটিও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। হামজার বাংলাদেশে আসা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বাংলাদেশি সমর্থকদের মধ্যে। অবশেষে হামজাকে নিয়ে কথা বলেছেন কিংবদন্তি সাবেক ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন, ‘এটা (হামজার আসা) বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো খবর এবং আমার মনে হয় এটা ইফেক্টিভ হবে। আশা করি ও (হামজা) আসলে আরও যদি কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার থাকে তারাও আসতে অনুপ্রেরণা পাবে, যে হামজা যখন গেছে, আমরাও যাই। এটা খুবই পজিটিভ সাইন।’ দুদিন আগে অবশ্য ৬ মাসের জন্য ধারে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে হামজাকে পাঠিয়েছে লেস্টার। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরও হয়ে গেছে। আপাতত হামজার ঠিকানা তাই শেফিল্ড।