ফেড কাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৬ পিএম
ফেডারেশন কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হার; পরের দুই ম্যাচ জিতে নেয় গ্রুপের অন্য দুই দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি ও ঢাকা আবাহনী। ‘বি’ গ্রুপ থেকে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড নিশ্চিত করে দল দুটি। তাদের সামনে এরপর বাকি ছিল কেবল গ্রুপ সেরার লড়াই। মঙ্গলবার সেই লড়াইয়ে আক্ষরিক অর্থে এগিয়ে যেতে পারেনি কেউ। ভিন্ন ম্যাচে সমান ব্যবধানে জিতে তাই গ্রুপ সেরা লড়াইটা জমিয়ে রেখেছে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ ও ধানমন্ডি পাড়ার ক্লাব আবাহনী।
ফকিরেরপুল ০-৩ ঢাকা আবাহনী
রহমতগঞ্জ ৩-০ চ. আবাহনী
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ শেষে দুই দলের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট করে। তবে গোল গড়ে এগিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রহমতগঞ্জ। ৪ ফেব্রুয়ারি দুই দলের মুখোমুখিতে নিস্পত্তি হবে কারা হবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে একে অপরের মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই খেলায় আবাহনী জিতলে হবে বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, তবে না জিতলেও গ্রুপসেরার সুযোগ রহমতগঞ্জের সামনে। সেক্ষেত্রে অন্তত ড্র করতে হবে তাদের।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ। অন্য ম্যাচে একই সময় কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফকিরেরপুলের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে মারুফুল হকের ঢাকা আবাহনী। সফল স্পট কিকে ইয়াসিন খান এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাসান মুরাদ। অন্য গোলটি করেন মাহাদি ইউসুফ।
এদিন অষ্টম মিনিটে আবাহনীর আসাদুল মোল্লা বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তালগোল পাকান। গোলমুখ থেকে তড়িৎ শটে ক্লিয়ার করেন ফকিরেরপুলের এক ডিফেন্ডার। ২৪ মিনিটে ভালো সুযোগ পায ফকিরেরপুল। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ব্যাক পাস থেকে বলের নাগাল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন আকবির তুরায়েভ। ভারসাম্য হারিয়ে তার বক্সে পড়ে যাওয়ায় দ্রুত ছুটে গিয়ে বল গ্লাভসে জমান আবাহনীর গোলরক্ষক। এই অর্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আবাহনী। গোলশূন্য বিরতিতে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
বিরতির পরও লিডের অপেক্ষা করতে হয় আবাহনীকে। তবে ৬৫ থেকে ৭১; এই ছয় মিনিটের দারুণ পারফরম্যান্সেই ম্যাচের সুরাহা করে দেয় আকাশি-নীলরা। ইয়াসিনের স্পট কিকে ভাঙে ম্যাচের ডেডলক। আবাহনীর ঝড়ের শুরুটাও এখান থেকে। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চালকের আসনে বসে আবাহনী; বক্সের ভেতরে এনামুল গাজীর পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন মুরাদ।
৭১ মিনিটে তৃতীয় গোলে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে আবাহনী। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে সমর্থকদের আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন মাহাদি ইউসুফ। বাকি সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি প্রতিপক্ষরা; তিন গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।
এদিকে, ময়মনসিংহে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে লিড নেয়ে রহমতগঞ্জ। মিশরের মিডফিল্ডার মোস্তফা গোল করার ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্যামুয়েল বোয়েটেং। ৭০ মিনিটে মোহাম্মদ তোহা গোল করলে জয়ের ব্যবধান ৩-০ হয় কামাল বাবুর দলের।