প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৪ পিএম
অনানুষ্ঠানিকভাবে খবরটা আগেই ছড়িয়েছিল। শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দিয়েছে নিশ্চয়তা— বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো ফেল করেছেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের পর ভারতের চেন্নাইয়ে বোলার সাকিব উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকেই এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন। তবে বিসিবি চাইলে এখনও টাইগার তারকাকে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলাতে পারে।
টাইগারদের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে তাই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন টাইগার ক্রিকেটের পোস্টারবয়। দ্বিতীয়বার অকৃতকার্য হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন সাকিব। তবে ব্যাটার হিসেবে খেলতে কোন বাধা নাই সাকিবের।
চেন্নাইয়ের ল্যাব থেকে বিসিবি’কে দিন তিনেক আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে আনুষ্ঠানিক চিঠি না আসায় বিসিবি অপেক্ষা করে। গতকাল তারা জানায় সাকিবকে নিয়ে খারাপ খবর। সাকিবের যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছিল, ঠিক তখনই আসল এমন দুঃসংবাদ। দুইবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে তিনি এখন শুধুই ব্যাটার।
আইসিসির নিয়ম হচ্ছে, পরপর দুটি পরীক্ষায় কোনো বোলারের অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়লে, সেই বোলার পরের এক বছর কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই আর বোলিং করতে পারবেন না। দুই বছরের মধ্যে যদি দ্বিতীয়বার সমস্যাটি ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। এমনকি ওই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পার না হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন না তিনি। নিষিদ্ধের খড়গ নেমে আসা সাকিবও তাই আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর বল হাতে নিতে পারবেন না। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে বাধা নেই বাঁহাতি স্পিনারের। এমনকি আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য লিগে ব্যাটার হিসেবে খেলতেও বাধা নেই তার।
এরআগে, গত মঙ্গলবার বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের ফেরা নিয়ে তারা আশাবাদী। তবে তার ফেরার মাঝে বাধা হয়ে ছিল বোলিং অ্যাকশন। সাকিব যেহেতু এখন আর বোলিং করতে পারবেন না, সেই কারণে তাকে দলে টানতে বিসিবি হয়ত আরেকটু ভাববে। আজকের মাঝে আইসিসির কাছে দল পাঠাবে বিসিবি। সেখানে তামিম ইকবালের পর তারও না থাকার সম্ভাবনা জোরালো।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েই বিপাকে পড়েন সাকিব। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর আইসিসি অনুমোদিত বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা দিয়েও সাকিব উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তারপর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে আবার সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখানেও তার অ্যাকশন বৈধতা পায়নি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এর আগে কখনই সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।