প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৬ পিএম
সাকিবকে পড়তে হতে পারে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে— সংগৃহীত ছবি
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় এখন এই অলরাউন্ডার। বিভিন্ন সূত্র জাানচ্ছে, গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেওয়া দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধিকরণ পরীক্ষায়ও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। দেশসেরা অলরাউন্ডার যে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো ফেল করেছেন বিষয়টি স্বীকারও করেছে বিসিবি। যদিও এই ইস্যুতে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট শাসক সংস্থাটি। দ্বিতীয়বার অকৃতকার্য হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধের শঙ্কায় বোলার সাকিব। তবে ব্যাটার হিসেবে খেলতে কোন বাধা নাই সাকিবের।
চেন্নাইয়ের ল্যাব থেকে বিসিবি’কে দু’দিন আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি এখনও আসেনি। সাকিবের যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছিল, ঠিক তখনই আসল এমন দুঃসংবাদ। দুইবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে তিনি এখন কেবল ব্যাটার হিসেবেই খেলতে পারবেন। আইসিসির নিয়ম হচ্ছে, পরপর দুটি পরীক্ষায় কোনো বোলারের অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়লে, সেই বোলার পরের এক বছর কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই আর বোলিং করতে পারবেন না। দুই বছরের মধ্যে যদি দ্বিতীয়বার সমস্যাটি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন ওই ক্রিকেটার। এমনকি ওই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পার না হওয়ার আগে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবেন না তিনি।
গত মঙ্গলবার বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবের ফেরা নিয়ে তারা আশাবাদী। তবে তার ফেরার মাঝে বাধা হয়ে আছে বোলিং অ্যাকশন। সাকিবের খোঁজ নিচ্ছেন জানিয়ে বিসিবি নির্বাচক বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিয়েছে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত এটা খুব বিস্ময়কর। আরেকটু পরিষ্কার হতে হবে, আবার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে কি না— এটা খোঁজ নিয়ে জানব।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়েই বিপাকে পড়েন টাইগার ক্রিকেটের পোস্টার বয়। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর আইসিসি অনুমোদিত বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা দিয়েও সাকিব উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তারপর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে আবার সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখানেও তার অ্যাকশন বৈধতা পায়নি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এর আগে কখনই সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।
যদিও সাকিবকে ত্রুটিমুক্ত করতে বিসিবি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য পরবর্তীতে আইসিসি অনুমোদিত কোনো সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে পারবেন সাকিব । তাতে যদি ব্যর্থ হন সে ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য তার বোলিং নিষিদ্ধ হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের ওপর।
বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাকিব চাইলে ব্যাটার হিসেবে খেলে যেতে পারবেন। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের বাইরে কোনো ধরনের টুর্নামেন্টেই বল করতে পারবেন না। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে বাধা নেই বাঁহাতি স্পিনারের। এমনকি আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য লিগে ব্যাটার হিসেবে খেলতেও বাধা নেই তার।