প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪১ পিএম
ক্রিকেট মাঠে সমালোচনা কমলেও সমানুপাতিক হারে বাড়ছে নেতিবাচক ঘটনা। কদিন আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত প্রেস সচিবের বচসার কথা সামনে আসে। এবার অভিযোগ আরও গুরুতর। বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বোর্ড সভাপতি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এমন একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পরিচালক ফাহিম। তিনি জানান, যদি স্বাধীনতা না মেলে তবে দায়িত্ব ছাড়বেন।
সাক্ষাৎকারে ফাহিম দাবি করেছেন, ‘বিসিবি সভাপতির কাছে একাধিকবার কাজের স্বাধীনতা না পাওয়ার কারণে তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি না হওয়ায় দায়িত্ব সঠিকভাবে বণ্টন হচ্ছে না এবং একসাথে কাজ করার পরিবেশ নেই। আমার অনেক সময় মনে হয়, বোর্ডের বাইরে থেকেও আমি ভালো ভূমিকা রাখতে পারব। বোর্ডে থাকতে হলে আমাকে কাজ করতে দিতে হবে। যদি কাজ না করতে পারি, তাহলে বাইরে থাকাই ভালো।’
ফারুক আহমেদের মতে, কাজের চাপের কারণে কথা কাটাকাটি হতে পারে। প্রখ্যাত ক্রিকেট কোচ ফাহিমের সাক্ষাৎকারসহ প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। পদত্যাগের কথাও ভাবছিলেন ফাহিম। তবে বোর্ড সভাপতির ভাষ্য, পদত্যাগ নয়, কাজ করা কঠিন অমন বলেছেন।
বিপিএলের ঢাকা পর্বের কোনো এক ম্যাচে সভাপতির রুমে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের সামনেই ফাহিমকে অপদস্থ করেন ফারুক আহমেদ। ‘ইউ এক্টিং লাইক ফানি? বিসিবি প্রেসিডেন্ট হতে চান, আসেন বানায় দেই’— গলা উঁচিয়ে এমন সব উত্তপ্ত বাক্য বলেছেন বোর্ড প্রধান। বিষয়টি সরাসরি নিশ্চিত না করলেও স্বনামধন্য কোচ ফাহিম জানিয়েছেন, তেমন কিছু কটু কথাই শুনেছেন।
সম্প্রতি তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিসিবি সভাপতির সেই মন্তব্য পুনরায় বলতে চাই না। তবে সেটি আমাকে খুবই আশাহত করেছে। আমি জানি না কেন তিনি এতোগুলো মানুষের সামনে এমন মন্তব্য করলেন। পরিচালকদের যে জায়গা দেওয়া দরকার সেটি কতটা বিসিবি প্রেসিডেন্ট দিতে চান, তা স্পষ্ট নয়। আমার কথাটা কিছুটা ভিন্ন হতে পারত। কারণ, আমরা দুজনই নতুন এসেছি। সেখানে আমাদের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার যে ব্যাপারটা, সেখানে এ ধরনের মন্তব্য সমীচীন নয়।’
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আজ বোর্ড সভাপতি অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনই করেছেন। বিষয়টি স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পদত্যাগ করতে চায়নি। (বোর্ড পরিচালক ফাহিম) বলেছে কাজ করা কঠিন। পদত্যাগ করতে চায় এমন কিছু শুনিনি। যাই হোক, ফাহিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যমুনা টিভির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ফাহিম ভাই আমার সঙ্গে ছিল।’
তবে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, অভিমান কমেছে ফাহিমের সমাধানও হয়েছে সমস্যার, ‘ফাহিম ভাই আমার বয়োজ্যেষ্ঠ, সিনিয়র মানুষ। আমারও সিনিয়র প্লেয়ার। আমার অনেক সিনিয়র। সেদিক বিবেচনা করে উনি হয়তো মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। ফাহিম ভাই আর কোনো কথা বলতে চাননি। আমার পাশেই ছিলেন। মোট কথা আমরা সমস্যার সমাধান করেছি।’