প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২১ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৫ পিএম
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই আলোচনায় ‘টাইমড আউট’। শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দিল্লিতে সাকিবের সেই ‘টাইমড আউটের’ স্মৃতি গতকাল মঙ্গলবার বিপিএলের মঞ্চে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে উইকেটের আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের মতো ‘টাইমড আউট’ করেননি খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল চিটাগাং কিংস। ইনিংসের সপ্তম ওভারে খুলনার হয়ে বল হাতে তুলে নেন পাকিস্তানি স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। প্রথম বলেই স্বদেশি হায়দার আলিকে সাজঘরে পাঠান তিনি। কিন্তু চিটাগং কিংসের ড্রেসিং রুম থেকে নতুন ব্যাটসম্যান বের হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই! বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর মাঠে ঢোকেন টম ও’কনেল।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বৈশ্বিক নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে নতুন ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিংয়ের জন্য তৈরি হয়ে যেতে হবে। পরিষ্কারভাবেই সেই সময় অতিক্রম করে মাঠে ঢোকেন ও’কনেল। এমন সময় মাঠে থাকা আম্পায়ার তানভীর আহমেদের কাছে টাইমড আউটের আবেদন করে বসেন খুলনার অধিনায়ক মিরাজ। আম্পায়ার তো আউট দিতে বাধ্য! সেই ডাকে সাড়া দেন আম্পায়ার নিজেও।
টিভিপর্দায় দেখা যায়, ড্রেসিং রুমের দরজার সামনে তাড়াহুড়ো করে প্যাড-গ্লাভস পরে তৈরি হচ্ছেন পরের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ওয়াসিম। তবে ওয়াসিমের তখনই নামার প্রয়োজন পড়েনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে শুরু করেন ২৪ বছর বয়সি ও’কনেল। ও’কনেল মাঠ ছাড়ার পথে থাকতেই আবেদন তুলে নেয় খুলনা। হাত ইশারায় তাকে ডেকে পাঠান মিরাজ। বিপিএলের মঞ্চে স্পিরিট অব ক্রিকেটের দৃষ্টান্তও তৈরি করেন তিনি। ও’কর্নেল নিজেও ‘থামসআপ’ দেখান। এ সময় মাঠের বাইরে থাকা কিংস কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরীকেও দেখা যায় কিছুটা স্বস্তিতে। এর কিছুক্ষণ পরই ব্রডকাস্টার ক্যামেরায় চিটাগং কিংসের শুভেচ্ছাদূত শাহিদ আফ্রিদি সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায় ফারভিজ মাহরুফকে। ও’কনেলের টাইমড আউটের ঘটনায় মিরাজের প্রশংসা করেন আফ্রিদি।