প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩২ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৮ পিএম
একাদশ আসরে চিটাগং কিংসের প্রথম ম্যাচে মাঠে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। ছবি -আ. ই. আলীম
২০২৪ সালটা কেমন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের? খেরোখাতায় চোখ বুলালে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার গল্পই বেশি। বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হার, শেষটা অবশ্য পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝের সময়গুলো চড়েছে রোলারকোস্টারে। তবে নিকট অতীতের স্মৃতি হাতড়ালে একটু আধটু সুখের পরশ মিলবে বৈকি। বিশেষ করে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারিয়ে ইতিহাস তৈরির বিষয়টি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। যার মুগ্ধতা পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ ছুঁয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাঙা-গড়ার বছরের ব্যর্থতা
চাপা দিয়ে বাংলাদেশের সাফল্য এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
নাজমুল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজদের সাম্প্রতিক সাফল্য নজর কেড়েছে তার। বিপিএলে চিটাগং
কিংসের মেন্টর ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিয়ে টাইগারদের প্রশংসা করেছেন তিনি। মিরপুর
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিপিএলের ম্যাচ চলার সময় বাংলাদেশের
প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন আফ্রিদি।
ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশে
অনেকবার এসেছেন আফ্রিদি। এই দেশকে নিজের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ মনে করেন তিনি। সময় বদলালেও
এখনকার মানুষ তাকে আগের মতোই ভালোবাসে বলে বিশ্বাস আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়
বলি, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এটিকে সব সময়ই দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে দেখি। এখানে অনেক
ক্রিকেট খেলেছি। এখানের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাপারে অনেক উৎসাহী। বাংলাদেশে আমি অনেক
সম্মান পেয়েছি। পাকিস্তান ও ভিন্ন কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বিপিএলে আমার দারুণ স্মৃতি
আছে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এখনও উপভোগ করছি।’
১৯৯৮ থেকে ২০১৬Ñ এ সময়ে অন্তত
১৩ বার বাংলাদেশ সফর করেছেন আফ্রিদি। বিপিএলে ছয়টি আসরে ভিন্ন পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির
হয়ে খেলেছেন তিনি। ব্যাট প্যাড তুলে রেখে এবার ভিন্ন ভূমিকায় আফ্রিদি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা
কাজে লাগাতে বিপিএলের এবারের আসরে তাকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছে চিটাগং কিংস। আফ্রিদি
বলেন, ‘(মেন্টরের কাজ) খুবই সহজ। শুধু সমর্থন ও অনুপ্রেরণা দেওয়া। মাত্র টুর্নামেন্ট
শুরু হয়েছে। বোলিংয়ে আমরা কিছু বড় ভুল করেছি। খুব অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ আমাদের। কিন্তু
সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারিনি। পিচ পড়তে পারিনি। পিচ বুঝে বোলিং করতে পারলে আমার মনে
হয়, দলটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ।’
প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশ ক্রিকেট
নিয়ে কথা বলেন আফ্রিদি। সাম্প্রতিক সাফল্য ও উন্নতির প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের
উন্নতিতে আমি খুবই খুশি। কারণ তারা ভুগছিল। বিপিএলের মাধ্যমে অনেকদিন ধরে প্রতিভাবান
তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও খুব ভালো খেলেছে,
সিরিজ জিতেছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান,
যেমন কিছু একাডেমি দরকার, যেখানে ক্রিকেটাররা বেড়ে উঠতে পারবে।’
বিপিএলে একাদশতম আসরে অবশ্য
চিটাগং কিংসের যাত্রাটা সুখকর হয়নি। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার দিয়ে আসর শুরু হয়েছে
মোহাম্মদ মিথুনদের। মিরপুরের মেহেদী হাসান মিরাজদের ২০৩ রানের জবাবে ১৬৬ রানে গুটিয়ে
গেছে চিটাগং। মিথুনদের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী শুক্রবার। তাদের প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী।