প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:০৪ এএম
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও জাকের আলী
ক্যারিবীয় সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজের জাত নতুন করে চিনিয়ে দিয়েছেন জাকের আলী। টেস্ট সিরিজেও ছিলেন ছন্দে। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানের দাপুটে ইনিংস উপহার দিয়েছেন। জাকেরও বিপিএলে মাতিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের জার্সি গায়ে। তরুণ এ ব্যাটারকে বেশ কাছ থেকে দেখেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। জাকেরের ব্যাটিং শৈলীর প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ‘জাকের ব্যাটসম্যান হিসেবে যথেষ্ট পরিপক্ব। এটা আমি আগেও বলেছি। খেলা বোঝে, সে যে পরিস্থিতিই হোক। অন্য যে ছেলেরা, তারাও আমার সঙ্গে কমফোর্ট ফিল করে। শেয়ার করতে পারে, কথা বলতে পারে।’
জাকেরের সাফল্যের রহস্য নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জাকেরকে আমি অনেকদিন ধরেই চিনি। আমার মনে হয়, সে অনেক বুদ্ধিমান, সে সেভাবেই গড়ে উঠেছে। ঢাকা লিগ বলেন, বিপিএল বলেন সে বিভিন্ন পজিশনে খেলে অভ্যস্ত এবং সে জানে কোন ভূমিকায় তাকে কীভাবে খেলতে হয়। এটা তার নিজস্ব যোগ্যতায় হয়েছে, ওইভাবে চিন্তা করেই বড় হয়েছে এবং সে জানে কখন কী করতে হবে। এই ম্যাচুরিটিটা আমার মনে হয়, আমাদের অন্যান্য ব্যাটারদের মাঝেও আসবে। এটা যদি বাকি সবার মাঝে আসে তাহলে আরও ভালো দল হবো আমরা।’
জাকেরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখন কেবল আরম্ভ হলো। তাকে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এমনটাই মনে করেন সালাহউদ্দিন, ‘প্রত্যেকটা ছেলেকেই ভালো অবস্থায় দেখতে চাই এবং ভবিষ্যতে যেন তারা আরও ভালো অবস্থায় যায়। এখানে পুরো দলটাই তো আমার, এখানে নির্দিষ্ট কেউ নিজের খেলোয়াড় না। জাকের যেভাবে খেলতেছে, ব্যাটার হিসেবে যে অভিজ্ঞতাটা আছে, সে পরিস্থিতি বুঝে যে ক্রিকেট খেলা বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার যে সামর্থ্যটা আছে সেটা তাকে হয়তো অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।’
লাল বলের সিরিজ অমীমাংসিত থেকে গেছে ১-১ এ। একদিনের সিরিজে ৩-০-তে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। কুড়ি কুড়ির সিরিজে উল্টো স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করে ছেড়েছে টাইগাররা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এই সিরিজে খেলেছে টিম হিসেবে। দারুণ এ সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহউদ্দিন পুরো দলকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না, ‘এই সিরিজে ছেলেরা ভালো খেলেছে। টিমটা ব্যালেন্স ছিল না, অনেকগুলো সিনিয়র প্লেয়ার ছিল না, চোটের সমস্যা ছিল। সেখান থেকে ছেলেরা মানসিক শক্তি দেখিয়েছে, তারা যে করতে পারে সেটা দেখিয়েছে। পুরো সিরিজের মধ্যে হয়তো প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসটাতে বাজে খেলেছিলাম। এ ছাড়া দ্বিতীয় ওয়ানডে ভালো খেলিনি। এ ছাড়া এত দিনের সফরে বেশির ভাগ দিনই ডমিনেট করে খেলেছি। ছেলেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে, বড় ভাবা শুরু করেছে, ভাবছে তারা পারবে। আমার মতে এই মানসিক দিকটাই তাদের অনেক কাজে দেবে।’
লাল-সবুজের জার্সিধারীদের সফল এ সফরে সালাহউদ্দিনের অবদান কতটুকু? উত্তরে সিনিয়র সহকারী কোচ কৃতিত্ব দেখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের, ‘আমি কিছুই করিনি। এখানে প্রধান কোচের অবদান আছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফিল খুব স্বাধীনতা দেয়। সেই সঙ্গে কোচিং স্টাফদেরও স্বাধীনতা দেয়। মনে হচ্ছে ছেলেরা এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, পরিকল্পনার সঙ্গেও যুক্ত। কৃতিত্ব পুরোই ছেলেদের। তারা ভালো খেলতে চেয়েছে, নিজেরাই পরিবর্তন হতে চেয়েছে। আমরা যারা কোচিং স্টাফে আছি, তারা হয়তো ছেলেদের ওই স্বাধীনতাটা দিয়েছে।’