বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮ পিএম
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)৷ যেখানে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের দুই শহীদ ক্রিকেটার জুয়েল ও মুশতাকের নামে সাজানো হয় দুই দল। সেই ম্যাচে মোহাম্মদ রফিকের অলরাউন্ড নৈপুন্যে জয়ী হয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন শহীদ মুশতাক একাদশ। নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৮ রান। জবাবে রফিকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪.২ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বাধীন শহীদ জুয়েল একাদশ।
অনেকেই মজা করে বলেন, রফিক চাইলে এখনও খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন। কথাটা এক অর্থে ভুল নয়। বোলিংয়ে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও বাজিমাত করেন ৫৪ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার। এহসানুল হক সিজানকে নিয়ে ইনিংস সূচনা করতে নেমে দৃষ্টিনন্দন চার-ছক্কায় পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেন রফিক। ৩৬ বলে ৫৮ রান করে ক্ষান্ত হন তিনি, ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে চলে এসেছে ১০৮ রান। এরপর শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সিজান। ৩৯ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, নাফীস ১১ বলে করেন ১৬ রান। শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে একমাত্র উইকেট শিকার করেছেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে শহীদ মুশতাকের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে আরেক নির্বাচক হান্নান সরকারের ব্যাট থেকে। ১৬ বল মোকাবেলা করে একটি চার ও দুটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া মেহরাব হোসেন অপি ১৪, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ১২, আব্দুর রাজ্জাক ১৫, হাসানুজ্জামান ঝরু ১৯, মুশফিকুর রহমান বাবু ১০, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন ১ ও হাসিবুল হোসেন শান্ত ১২ রান করেন। বাবু ও হাসিবুল শান্ত থেকে যান অপরাজিত। শহীদ জুয়েল একাদশের পক্ষে রফিক ছাড়াও তালহা জুবায়েদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। একটি উইকেট পান ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের এই দুই বীরের স্মরণে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছর এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের সাবেক সব তারকাদের মিলন মেলা হয়ে থাকে এদিন। এবারও তার কমতি কিছু রাখেনি বিসিবি। সাবেক ক্রিকেটারদের আগমনে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা হোম অব ক্রিকেট।