প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
জাকের আলী অনিকের ব্যাটিং বীরত্ব, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার বোলিং তোপ কিংবা তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে কিংস্টন টেস্টে ১০১ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জাকের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে পেসারদের মধ্যে তাসকিনই সবচেয়ে বেশি বোলিং করেছেন (৬৪.১ ওভার)। ইনিংসে সেরা বোলিংও তার। অ্যান্টিগায় ২০১ রানে হারের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬৪ রানে ৬ উইকেট। সেটা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। আর কিংস্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ কিসি কার্টি ও জাস্টিন গ্রিভসকে ফেরান। নাহিদ রানাও গতির ঝড় তুলেছেন। অবশ্য জয়ের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দেরই দিয়েছেন মিরাজ।
সিরিজ ড্রয়ের পর মিরাজ বলেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে রান রেট ছিল ২.২৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিবাচক খেলা উপহার দিয়ে টাইগার ব্যাটাররা সেটাকে ৪.৪৭ টেনে তুলেছেন। এর মূলে নিশ্চয়ই অধিনায়কের একটা নির্দেশনা ছিল। মিরাজ বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।’