প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫ পিএম
বাংলাদেশের প্রত্যাশা একেবারেই ছিলনা বললে ভুল হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে গিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। অথচ দৌরগোড়ায় পা রেখেই হোচট খায় তারা। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হার দেখে টাইগাররা। সে দুঃখ মোচনের আগেই আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটাররা নাকাল হয়েছে ওয়েস্ট
ইন্ডিজের পেসের কাছে। চার স্পেশালিষ্ট পেসারের সঙ্গে একজন পেস অলরাউন্ডার দলে রাখে
ক্যারিবিয়ানরা। জ্যামাইকার পেস বান্ধব উইকেটের কথা বিবেচনা করে নিশ্চয়ই দ্বিতীয় টেস্টেও
একই পথে হাঁটবে সফরকারীরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা শুভ্র পোশাকে ১৬তম জয় তুলে নিতে
পেসারদের কাজে লাগাতে পারে তারা। টাইগারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে আজ এমনটাই জানালেন
ক্যারিবিয়ানদের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জশুয়া ডি সিলভা। জ্যামাইকায় পা রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
উইকেটরক্ষক বলেন, টেস্টে বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টায় আছে তার দল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জশুয়া বলেন, ‘পেস
বিভাগে কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে। শামার জোসেফের মতো নতুন মুখ
আছে। জেডেন সিলস বেশ কিছুদিন ধরে খেলছে, তবে এখনও শিখছে। প্রথম টেস্টে পেসাররা ১৮ উইকেট
নিয়েছে। এই সুযোগ ও সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতা সম্ভব।’
দলের পরিকল্পনাই শুধু পেসাররাই থাকবে। আদৌ কোনো স্পিনার
স্পেশালিষ্টকে দেখা যাবে জ্যামাইকায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জশুয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারটি
অধিনায়ক ও প্রধান কোচ দেখবেন। প্রথম টেস্টে চার পেসার আমাদের জন্য কাজে দিয়েছে। পরের
টেস্টে একাদশ যেমনই হোক, আমি নিশ্চিত যে আবারও কাজটা ঠিকঠাক করতে পারবে। মাঠে যারাই
নামব আমরা, সবাই নিজেদের সেরাটা দেব। স্পিনার কাউকে নেয়ার প্রয়োজন হলে, তা হবে। তারপরও
আমাদের পেস আক্রমণ প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতে পারে।’
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫০ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ব্যাটিংয়ে তরুণরা হাল ধরছে বলে জানিয়েছেন
ডি সিলভা। তিনি বলেন, 'প্রথম ইনিংসে আমরা ৪৫০ রান করি, এটাই লক্ষ্য ছিল। দিনশেষে আমরা
এভাবেই ধারাবাহিক হতে চাই। এমনকি আমিসহ প্রত্যেক ব্যাটার। দলে তরুণ অনেকে আছে যারা
মিডল অর্ডারের হাল ধরছে। নিয়মিত ৩০০ রানের বেশি করে যেতে হবে, উইকেট যেমনই হোক। আমি
এটা নিয়ে চিন্তিত নই, আমাদের ছেলেদের সেই সামর্থ্য আছে।'