প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১১ এএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১১ এএম
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের শীতল যুদ্ধ প্রকাশ্যে। নিরাপত্তাকে ঢাল হিসেবে রেখে ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তান সফর থেকে বিরত ভারত ক্রিকেট টিম। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো দূরে, এশিয়া কাপ এবং পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ব্লাইন্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপে দল পাঠায়নি ভারত। দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, রোহিত শর্মারাও একই ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছেন। তবে শেষ মুহূর্তে পাশার দান উল্টে ‘হাইব্রিড মডেলে’ খেলা হতে পারে বলে জানায় ইএসপিএন ক্রিকইনফো। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটির দাবি, শুক্রবার বসতে যাওয়া আইসিসির মিটিংয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সে তিন ঘটনার যেকোনো একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
গতকাল ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় সেই তিনটি অপশন। বলা হয়, হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কেবল ভারতের ম্যাচগুলোই হবে পাকিস্তানের বাইরে। দ্বিতীয় অপশনটি হচ্ছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানই থাকবে। আর ম্যাচগুলো দেশটির বাইরে। শেষ অপশন হচ্ছে, ভারতকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
ক্রিকইনফোর এই তিন অপশনের সবচেয়ে অগ্রহণযোগ্য শেষটি। কারণ ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হবে লবণ ছাড়া তরকারির মতোই। তার মধ্যে আর্থিক ইস্যুটিও বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভিও ইতোমধ্যে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। শুরুতে হুংকার ছুড়লেও এখন তার বক্তব্যÑ দেশের স্বার্থে এবং আইসিসির যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি।
সোমবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই করব। আমি সব সময় আইসিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং তার সঙ্গে দল নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, পাকিস্তান ক্রিকেট টিম ভারত গিয়ে খেলবে অথচ ভারত আমাদের দেশে টিম পাঠাবে না, এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যাই হবে সেটা সমতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। আমরা আইসিসিকে স্পষ্ট বলেছি, ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে আমাদের যা হয়, তা তাদের জানানো হবে।’
এর আগে পিসিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হাইব্রিড মডেল যদি ভারতের কারণে হয়ে থাকে, তবে সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেছেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত আকারে চিঠিতে জানাবে। এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল নিয়ে আলোচনা হয়নি। তা ছাড়া আমরা এই ব্যাপারে সম্মতি দিতে পারি না।’
নকভি নিশ্চিত করেছেন, ভারত এখন পর্যন্ত তাদের অভিযোগ ও সমস্যা নিয়ে কোনো চিঠি পাঠায়নি পাকিস্তানকে। বরং আইসিসিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে পিসিবির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে নকভি পুনরায় বলেছেন, ‘আমি কী চাই সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন, পাকিস্তান ভারতে গিয়ে খেলবে, অথচ তারা আমাদের দেশে আসবে না। সেটা হতে পারে না।’
শেষ পর্যন্ত যদি হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়, তবে পাকিস্তান মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণই পেতে যাচ্ছে বলে খবর। হোস্টিং ফি বাবদ পিসিবি প্রায় ৬৪-৬৫ মিলিয়ন ডলার পাবে। হাইব্রিড মডেলে রাজি হলে পাকিস্তানের অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে। ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে এমনটা দাবি করা হচ্ছে।