প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০১ পিএম
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যত সন্নিকটে ততই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের বাগ্যুদ্ধ বেড়ে চলেছে। নিরাপত্তা ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। একই ঘটনা সামনে এনে দেশটির ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলকেও বিশ্বকাপে পাঠায়নি তারা। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোহিত শর্মাদেরও ব্লাইন্ড টিমের দশা হতে পারে! তবে শেষ মুহূর্তে পাশার দান উল্টে ‘হাইব্রিড মডেলে’ খেলা হতে পারে বলেও জানায় ক্রিকেট বিষয়ক একাধিক গণমাধ্যম। তবে নিজেদের অবস্থানে অনঢ় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই করবো। আমি সবসময়ই আইসিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং তার সঙ্গে দল নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, পাকিস্তান ক্রিকেট টিম ভারত গিয়ে খেলবে অথচ ভারত আমাদের দেশে টিম পাঠাবে না, এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যাই হবে সেটা সমতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। আমরা আইসিসিকে স্পষ্ট বলেছি, ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে আমাদের যা হয়, তা তাদের জানানো হবে।’
পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকে প্রতিবেশি দেশে সফর থেকে বিরত ভারত। এমনকি গত মাসে দেশটির ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তান সফরে অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। রোহিত শর্মাদের বেলাতেও একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রকাশ করেছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম।
এর আগে পিসিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হাইব্রিড মডেল যদি ভারতের কারণে হয়ে থাকে, তবে সেটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বলেছেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত আকারে চিঠিতে জানাবে। এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাছাড়া আমরা এই ব্যাপারে সম্মতি দিতে পারি না।’
নকভি নিশ্চিত করেছেন, ভারত এখন পর্যন্ত তাদের অভিযোগ ও সমস্যা নিয়ে কোনো চিঠি পাঠায়নি পাকিস্তানকে। বরং আইসিসিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে পিসিবির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে নকভি পুনরায় বলেছেন, ‘আমি কি চাই সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন, পাকিস্তান ভারতে গিয়ে খেলবে, অথচ তারা আমাদের দেশে আসবে না। সেটা হতে পারে না।’
এসময় ভবিষ্যৎ ইভেন্ট নিয়েও কথা বলেছেন নকভি। তিনি বলেছেন, ২০২৫ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। পাশাপাশি ২০২৬ সালে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সহ-আয়োজক হবে ভারত। আইসিসির আসন্ন ইভেন্টগুলোতে নিজেদের অংশগ্রহণে শর্ত জুড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন নকভি।