প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম
ইসরায়েলের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন লেবাননের এক নারী ফুটবলার। গত শনিবার দেশটির রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে নিজের বাসার পাশে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে গুরুতর আহত হন সেলিন হায়দার নামের ১৯ বর্ষী ওই ফুটবলার। বর্তমানে হাসপাতালে কোমায় আছেন তিনি।
সেলিন লেবানন অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় দলের হয়ে ২ বার ওয়েস্ট এশিয়া কাপ জিতেছেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সম্প্রতি লেবানন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সেলিন। সামনেই সিনিয়র দলের হয়ে ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের টানা সামরিক হামলার মধ্যে সেলিনের পরিবার আগেই বৈরুতের বাইরে পালিয়ে গেছে। তবে অনুশীলনের জন্য শহরের বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন সেলিন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বোমাবর্ষণের আগাম ঘোষণা দিলেই তিনি নিরাপদে সরে যাবেন-এমনটাই বলেছিলেন পরিবারকে। কিন্তু আদতে ইসরায়েলের হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি সেলিন।
গত ১৬ নভেম্বর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ শুরু করলে সেলিন একটি মোটরবাইকের ওপর ছিটকে পড়েন। এ সময় শ্রাপনেলের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন সেলিন। মাথার খুলিতে একাধিক ফাটল এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।
সেলিনের কোচ সামার বারবারি রয়টার্সকে জানান, তাকে এখন বৈরুতের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের নিবিড় চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে সেলিন কখন চেতনা ফিরে পাবেন, এ বিষয়ে চিকিৎসক এখনও কোনো ধারণা দিতে পারেননি৷
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার জেরে গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছে সেলিনের মতো ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।