প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০০:১২ এএম
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
ক্যারিয়ারে যারপরনাই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজের শেষ সময়ের কথা হয়তো আর মনে করতে চাইবেন না। একদিকে কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে পর্তুগালের সাবেক কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল তার। খেলার সুযোগই পাচ্ছিলেন না।
অন্যদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরে সাবেক রেড ডেভিল কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। ফলে এমন অবস্থা ছিল যে ইউনাইটেড ছাড়তে পারলেই যেন হাফ ছেড়ে বেঁচে যান।
সেই বিভীষিকাময় দিন কাটিয়ে রোনালদো পাড়ি জমান সৌদি আরব। নাম লেখান আল নাসরে। এ নিয়ে সিআর সেভেনকে অনেকে হাসি-ঠাট্টাও করে ছেড়েছেন। সমালোচনার বিষাক্ত তীর বিদ্ধ করে পর্তুগিজ এ সুপারস্টারের হৃদয়ে। এ নিয়ে খোলাখুলি আলাপ করেছেন রোনালদো।
বর্ণিল পেশাদার ক্যারিয়ারের বড় একটা অংশ জুড়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন আল-নাসরের এ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়িয়ে লিখে গেছেন একের পর এক ইতিহাস। জানিয়ে দিয়ে গেছেন তিনি এখনই শেষ হওয়ার মতো পাত্র নন। দীর্ঘ দুই দশক আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ রোমাঞ্চকর দ্বৈরথটা চালিয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে ইউরোপ ছেড়ে এখন দুজনেই অনেক দূরে। একজন এশিয়ায়, অন্যজন আমেরিকায়।
অনেক তেতো কথা হজম করতে হয়েছে রোনালদোকে। যখন ২০২২ সালে ইউনাইটেড ছেড়ে বিশ্ব ফুটবলে অজনপ্রিয় মধ্যপ্রাচ্যে যোগ দেন, তখন অনেকেই তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। সেই নিন্দুকদের উদ্দেশ করে জবাব দিয়েছেন এতদিন মাঠে। এবার জবাব দিলেন রোনালদো নিজ কণ্ঠে। নেটফ্লিক্সের এক প্রোমোশনাল ভিডিওতে তিনি এ নিয়ে জানান, ফুটবলের প্রতি তার অনুরাগটা ঠিক অটুট আছে আগের মতোই। এমনকি নিজে ফুরিয়ে যাননি বলেই দৃঢ় বিশ্বাস পাঁচবারের এ ব্যালন ডি’অর জয়ীর।
৩৯ বছর বয়সে চির সবুজ তারুণ্যকে আলিঙ্গন করা মেগাস্টার রোনালদো বলেন, ‘আমি এখানে জয়ী হতে এসেছিলাম, চেয়েছি লিগটাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিতে। একই সঙ্গে এখানে নিজের লিগ্যাসিটাও রেখে যেতে চাই। এটাই আমি চাই। ইউরোপে আমি সব জিতেছি। তারা (সমালোচক) বলেছিল আমি শেষ, আমি এখানে কেবল টাকার জন্যই এসেছি। আমি এখনও আগের মতো (ফুটবলে) আবেগটা অনুভব করি। তারা সেটি বিশ্বাস করতে চায়নি, কিন্তু আমি এখানে (সৌদি আরব) জিততেই এসেছি।’