প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৪ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২৭ পিএম
বিসিবির সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ছবি: আ. ই. আলীম
বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোচিং স্টাফে এর আগেও কাজ করেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। জাতীয় দলে তার কোচিংয়ের প্রথম অধ্যায় শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে। ২০১০ সালে দায়িত্ব ছাড়েন টাইগারদের ফিল্ডিং কোচ ও সহকারী কোচ হিসেবে। তখন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, এমনকি মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রভাব ফেলেছেন পঞ্চপাণ্ডবের ক্যারিয়ারে। তারকা ক্রিকেটারদের সেই প্রজন্ম অপেক্ষা করছে বিদায়ের জন্য। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাণ্ডারি হতে চলেছেন। দেশের স্বনামধন্য এ কোচ এবার জাতীয় দলে ফিরেছেন সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে। বিপিএলের এ সফল ক্রিকেট গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। তবে সালাহউদ্দিনের চুক্তিটা হতে পারে দীর্ঘ। নতুন মেয়াদে সালাহউদ্দিন দেশের তরুণ প্রজন্ম গড়ে করে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে আনুষ্ঠানিক প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আজ রবিবার সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন সালাহউদ্দিন।
এবার কেন বিসিবির চাকরি নিয়েছেন? ২০১০-১১ সালে বিসিবির একাডেমিতে বিশেষজ্ঞ কোচের ভূমিকায় কাজ সালাহউদ্দিন কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন সঠিক সময়। আমি হয়তো কোচিং আর বেশি দিন না–ও করতে পারি। হয়তো আর চার-পাঁচ বছর করব। আমার মনে হয়, এখনই সঠিক সময়। আমার দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের শেষে আমি যদি আরও একটা জেনারেশনকে হেল্প করতে পারি, তাহলে সেটা আমার নিজের কাছেও ভালো লাগবে। কারণ, আপনি শুধু জেনে গেলেন, কিন্তু কোনো প্রদীপ জ্বালালেন না, সেটা তো ঠিক হবে না। এই কাজটা যদি ভালোভাবে করতে পারি, কিছুটা হেল্প হলেও আমি মনে করি ভালো হবে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগী মানুষদের মাঝে সালাহউদ্দিনের জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। কিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিলছে তার প্রমাণ। সমর্থকদের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান সালাহউদ্দিন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘অনুভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করব যেন মানুষ আমাকে ভালোবাসে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেওয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত সময় যতটুকুই হোক, আমি যদি কারও জীবনে সামান্যতম প্রভাব রাখতে পারি, সেটাই মনে করি সার্থকতা। আমি হয়তো নাটকীয়ভাবে অনেক চেঞ্জ করতে পারব না। কিন্তু আমার একটা কথা, একটা কিছুতে একজনের জীবনে কিছু পরিবর্তন হয়, তাহলে সেটা আমার অনেক বড় সার্থকতা হবে।’
জাতীয় দলে কাজ করায় আগ্রহ দেখাননি সালাহউদ্দিন। সেই সিদ্ধান্ত কেন পাল্টে ফেললেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি আসতে চাইনি, তা নয়। কারণ, আমি দু-তিনটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেটা তো আমি একেবারে ফেলে আসতে পারব না। যেহেতু ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে, তিন মাস আগে থেকে কথা চলছিল, এর মধ্যে আমি এগুলো সেটল করতে পেরেছি বলে আসতে পেরেছি।’
চলতি নভেম্বরেই বাংলাদেশ টিমের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করবেন সালাহউদ্দিন। মিরপুর স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে কাজও করেছেন সালাহউদ্দিন। আগামীতে তার কাজের ধারণা দিতে দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু আমি সহকারী কোচ, যেহেতু হেডকোচ আছে এখানে, তার দর্শনটা আমাকে আসলে...সে কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাহায্য করা...যতটুকু পারি। আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।’ সালাহউদ্দিন সঙ্গে যোগ করেন, ‘চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো সেদিকে যায় সেই লক্ষ রাখব।’