প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম
নাজমুল হোসেন শান্ত
আফগানদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকুর রহিম নেই আঙুলের চোট নিয়ে। সাকিব আল হাসান নেই রাজনৈতিক পালাবদলের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে। আর তামিম ইকবাল জাতীয় নেই দীর্ঘদিন ধরে। তাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা পৌঁছে গেছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। একে একে এখন তাদের বিদায় নেওয়ার পালা। তাই সময় এসেছে সিনিয়রদের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চপান্ডবের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে আরও অনেক আগেই। মাশরাফি বিন মুর্তজার জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে আছেন অনেক দিন হলো। এই তালিকায় নাম লেখানোর পথে রয়েছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি এবং মুশফিক টি-টোয়েন্টিকে গুডবাই বলে দিয়েছেন। তামিম ইকবাল লাল-সবুজের জার্সিতে ফেরা নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কিছুতেই কাটছে না। তবে ২০০৬ সালের পর মানে ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো সাকিব-তামিম-মুশফিককে ছাড়া কোনো ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এবং তাতে দাপটের সঙ্গে জয়ও ছিনিয়ে নিয়েছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরশীল না হওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন সিনিয়র প্লেয়াররা নাই, আস্তে আস্তে আমাদের এখন এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কারণ সবসময় তারা খেলবেন না। তারা থাকলে তো ড্রেসিংরুমে ভেতরে বাড়তি সুবিধা হয়ই, অনেক অভিজ্ঞ। তবে এমন না যে তাদের নিয়েই সবসময় খেলতে হবে। এখন আস্তে আস্তে সময় হচ্ছে যে আমরা যারা আছি তারাও দলে অবদান রাখতে পারছি কিনা।'