প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২১ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১১ পিএম
অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ সেরা পাক গতিতারকা হারিস রউফ; ছবি : ইএসপিএন ক্রিকইনফো
প্রথম দুই ওয়ানডেতে উভয় দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছিল। তাই পার্থে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। পাকিস্তানি পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে ৮ উইকেটের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দীর্ঘ ২২ বছর পর সিরিজ জিতল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। এর আগে ২০০২ সালে সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ম্যান ইন গ্রিনরা।
অস্ট্রেলিয়ার পেস কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আগুন ঝরিয়েছেন পাকিস্তানের পেসাররা। পুরো সিরিজ জুড়েই দাপট ছিল হারিস রউফ-শাহিন শাহ আফ্রিদি- নাসিম শাহদের। যাদের তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাত্র ১৪০ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায়। যা ৮ উইকেট এবং ২৩.১ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়েছে সফরকারীরা। অথচ মেলবোর্নে সিরিজটা শুরু হয়েছিল অজিদের ২ উইকেটের জয় দিয়ে।
১৪১ রানের মামুলি লক্ষ্যে নেমে দুই পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব আনেন দারুণ শুরু। সহজে রান বাড়িয়ে দলকে জেতার দিকে নিয়ে যান তারা। দলের ৮৪ রানে গিয়ে পড়ে প্রথম উইকেট। ল্যান্স মরিসের বলে ৫৩ বলে ৩৭ করে ফেরেন শফিক। এরপর ৫২ বলে ৪২ করে খানিক পর সাইমও শিকার হন মরিসের। ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি কাজ সারেন রিজওয়ান-বাবর আজম।
অ্যাডাম জাম্পার বলে লং-অন দিয়ে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিতের পর ক্রিজে থাকা বাবর-রিজওয়ান দুই হাত শূন্যে তুলে ধরেন। লম্বা সময় পর সিরিজ জয় যেন তাদের অনেক কিছু থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচিয়েছে। সর্বশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই চাপের পাহাড় তৈরি করেছিল। সেই পাহাড় ডিঙাতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে বেছে নিলেন বাবররা।
এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের চার পেসারের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারায় অসিরা।
ওপেনার ম্যাথিউ শটের ২২ আর তিনে নামা অ্যারন হার্ডির ১২ রান ছাড়া বাকিদের টপঅর্ডারদের বাকিরা ২ অংকে ছুঁতে পারেনি। অষ্টম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পাকে সঙ্গে ৩০ রানের জুটি করে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১০০ পার করেন শন অ্যাবট। ২২ বলে ১৩ রান করে জাম্পা আউট হন নাসিমের বলে।
নবম উইকেটে স্পেন্সার জনসনকে নিয়ে ২২ রানের জুটি করে অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক মান বাঁচান অ্যাবট। ৪১ বলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ডানহাতি অসি ব্যাটার। স্পেন্সার আউট হন ১২ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরার মুকুটও ওঠে এই গতিতারকার হাতে।