প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১২ এএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৭ এএম
কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন পেপ গার্দিওলা। ২০০৬ সালের পর থেকে ম্যানেজারিয়াল পদে কখনো এমন দিন দেখেননি। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে আছেন তিনি। কিন্তু সিনিয়র ফুটবল ক্যারিয়ারে কখনো টানা চার ম্যাচ হারতে হয়নি তাকে। এবার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে এই স্প্যানিশ কোচকে।
সবশেষ তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাইটনের মুখোমুখি হয়েছিল সিটিজেনরা। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্য দিয়ে গেল ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারল সিটি। এর আগে সবশেষ তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল স্টুয়ার্ট পিয়ার্সের কোচিংয়ে।
অ্যামেক্স স্টেডিয়ামে শুরুটা ছিল কেবলই সিটির। দুই ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ২৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সিটি। মাতেও কোভাচিচের দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে বাড়ানো থ্রু পাস ধরে শট নেন আর্লিং হাল্যান্ড। ব্রাইটন গোলরক্ষক ভারব্রুগেন পারেননি বল গ্রিপে নিতে। সেই সুযোগে দারুণ ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন নরওয়েজিয়ান এই তারকা।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত সিটির। তবে এবার ফিল ফোডেনের পাস ধরে হাল্যান্ডের কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন ব্রাইটন গোলরক্ষক ভারব্রুগেন। তাদের জন্য এই ম্যাচে বড় সুযোগ ছিল ওই পর্যন্তই। তবে বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য করে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন।
৫২ তম মিনিটে সমতা টানার সেরা সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে জ্যাক হিনশেনউডের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে রুখে দেন সিটির গোলরক্ষক এডারসন। অবশেষে ৭৮তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় ব্রাইটন। বক্সে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন ড্যানি ওয়েলবেক। বল আটকেছিল জটলার মাঝে। সেখান থেকেই নিচু শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো।
পাঁচ মিনিট পর আরেক বদলি খেলোয়াড়ের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাইটন। ডেনিশ মিডফিল্ডার ম্যাট ও’রাইলি সিটির জালে পুরে দেন দিনের দ্বিতীয় গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষ ২৭ মিনিটে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি সিটি।
এই হারের পর ১১ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানসিটি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাইটন। আর রাতের অন্য ম্যাচে জয়ের সুবাদে সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে সবার ওপরে উঠেছে লিভারপুল।
লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়ে দলের চোট সমস্যাকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন সিটি বস গার্দিওলা। ব্রাইটন ম্যাচ শেষে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এটা কি একটি যুগের সমাপ্তি? সিটি কোচ সরাসরি উত্তর না দিলেও, তুলে ধরেন পূর্ণ শক্তির দল না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপের কথা, ‘মানুষ এটাই (সিটির পরাজয়) চায়, তাই না? এটা স্বাভাবিক…আমরা অনেক কিছু জিতেছি। আমি শুধু স্কোয়াডের সবাইকে প্রস্তুত অবস্থায় পেতে চাই।’