প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯ পিএম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সফলতম এবং দেশের ক্রিকেটের আলোচিত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এসব ছাড়াও আরেকটি বড় পরিচয় আছে তার। টাইগার ক্রিকেটের একটি প্রজন্মকে পোক্ত করে তোলায় ভূমিকা ছিল উজ্জ্বল সালাউদ্দিনের। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দিন কয়েক আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি এই কোচ।
আজ শুক্রবার বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। সেখানে সালাউদ্দিন বলছিলেন, ‘আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে, ওটা যদি না ভাঙতে পারি, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। (আমাদের কাজ) পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। সেটা অসম্ভবও নয়। এখন খেলোয়াড়েরা মেন্টালি, ফিজিক্যালি ও আর্থিক দিক থেকে অনেক স্বাবলম্বী। যেটা হয়তো আগে ছিল না। এখন ভালো করার সুযোগ বেশি।’
নব্বই দশকের শেষ দিকে খেলোয়াড়ি জীবনেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন সালাউদ্দিন। ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকপ্রদ সাফল্যে নজর কাড়েন দ্রুতই। ২০০৬ সালে তাকে যুক্ত করা হয় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে। সালাউদ্দিন বলেন, ‘এইচপি বা অনূর্ধ্ব-১৯-এর খেলোয়াড়দের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে বলবে জাতীয় দলে খেলতে চাই। স্বপ্নটা কিন্তু ওখানেই থেমে গেল। জাতীয় দলে খেললে এরপর কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সেটা তারা জানে না। যারা এতদিন খেলছি, তাদের আসলে কী ধরনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, মেন্টালিটি হওয়া উচিত, কীভাবে আরও বড় খেলোয়াড় হওয়ার জন্য নিজেকে মোটিভেট করা উচিত, এই ছোট ছোট কাজগুলো করে।’
নতুন এই কাজে নিজের চ্যালেঞ্জ দেখছেন সালাউদ্দিন। দেশি কোচ হিসেবে নিজেকে চেনাতে চান তিনি। এ নিয়ে বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা প্ল্যাটফর্ম করে দেবে। সেই জায়গায় আমি যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, আমার দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যে সব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয় এই বিশ্বাস টা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে কোচ-সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’