চ্যাম্পিয়নস লিগ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭ পিএম
ফারমিন লোপেজের উদযাপন
ঠিক যেন বড় গাড়ির ইঞ্জিন। স্টার্ট নিতে একটু সময় নিয়েছে বৈকি। ইউরোপ সেরার মঞ্চ চ্যাম্পিয়নস লিগে মোনাকোর বিপক্ষে হার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্সেলোনার। এরপর...শুধুই ধামাকা। একের পর এক জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। কাতালুনিয়াদের সবশেষ শিকার রেড স্টার বেলগ্রেড। সার্ভিয়ার জনপ্রিয় ক্লাবকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি ও রাফিনহারা। একই রাতে জয় খরা কাটিয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। লিগে টানা দুটি হারের পর দলকে একদণ্ড শান্তি দিয়েছেন জামাল মুসিয়ালা। অ্যাস্টন ভিলার জয়যাত্রা থেমেছে। হার দেখেছে আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেই।
বুধবার উৎসবের ম্যাচে বার্সা দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। অল্পতেই ডেডলট ভেঙে দলকে উৎসব এনে দেন ইনগো মার্টিনেজ। এই স্প্যানিয়ার্ড মাত্র ১৩ মিনিটে রাফিনহার ফ্রি কিকে হেডে গোল আদায় করেন। অবশ্য ১৪ মিনিট পরই সমতায় ফেরে বিলগ্রেড। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বার্সা আক্রমণাত্মক অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে সিলাস কাতোম্পা-এমভুম্পা গোল করে সমতা ফেরান।
ম্যাচের ফল ১-১ ব্যবধানে গেলে অনেকটা দ্বিগুণ গতিতে আক্রমন শানায় বার্সেলোনা। ৪৩তম মিনিটে রাফিনহার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে জাল কাঁপান লেভানডফস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে জুলেস কোন্দের ক্রসে পোলিশ স্ট্রাইকার প্রথম স্ট্রাইকে বার্সার লিড বাড়িয়ে নেন। বার্সার চতুর্থ গোলও রাফিনহাকে বানিয়ে দেন কোন্দে। ফরাসি ফুলব্যাক ৭৬তম মিনিটে তৃতীয় অ্যাসিস্ট করেন। ফারমিন লোপেজকে সহজ গোল বানিয়ে দেন তিনি। ৫-১ গোলে পিছিয়ে যাবার পর ৮৪তম মিনিটে মিলসনের সৌজন্যে আরেকটি গোল শোধ করে বেলগ্রেড। যদিও শেষ দিকে লোপেজ একটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড়ই হতো।
একই রাতে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচজুড়ে আধিপত্য দেখিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। কিন্তু ডেডলক ভাঙতে একটু বেশিই সময় নিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালার হেড গড়ে দেয় পার্থক্য। টানা দুই ম্যাচে হারের পর জয় দেখে ভিনেসেন্ট কোম্পানির দল।
গত ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে বড় হারের পর বেনফিকার বিপক্ষে একটা সুযোগ তৈরি হয় মিউনিখের। কিন্তু শুরু থেকে জোর চেষ্টা চালিয়ে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। বেনফিকার মাঠে বায়ার্ন মিউনিখও নিয়েছে একের পর এক শট। সব মিলিয়ে ২৪ শট, যার মধ্যে ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু জালে গেছে শুধু ৬৪তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার শটটি। তাতেই ১-০ গোলে এগিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে বায়ার্ন।
এদিন হারের মুখ দেখে অ্যাস্টন ভিলা। টানা তিন ম্যাচ জিতে ভিলা পা রেখেছিল ক্লাব ব্রুগের মাঠে। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে ১-০ গোলে হারলো তারা। ভিলার গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ গোল কিক নিয়ে ছোট পাস বাড়ান, টাইরন মিংস খেলা শুরু হয়নি ভেবে বল হাতে নিয়ে আর্জেন্টাইন কিপারকে ফেরত পাঠান। ততক্ষণে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন। হ্যান্স ভ্যানাকেন পেনাল্টি থেকে গোল করলে জ্যান ব্রেইডেল স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ভিলার মতো আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল হার দেখেছে। ২১ বছরে ইন্টার মিলানের সঙ্গে প্রথমবারের দেখায় সুবিধা করতে পারেনি তারা। সব প্রতিযোগিতা মিল শেষ ছয় ম্যাচে তৃতীয়বার হারতে হলো গানারদের। গতকালকের ম্যাচের আগে তিন ম্যাচ খেলে দুই দলই তাদের গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছিল। কিন্তু আর্সেনালের গোলমুখ খুলে গেলো এদিন। হাকান কালহানোগলু তার চমৎকার পেনাল্টি রেকর্ড ধরে রেখে ইতালিয়ান ক্লাবকে জেতালেন।
প্যারিস সেন্ট জার্মেই বিব্রতকর হার দেখেছে একই দিনে। ঘরের মাঠে তারা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ জিতেছে ২-১ গোলে। এ নিয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হার দেখলো ফরাসি জায়ান্টরা।
আসরে শতভাগ সাফল্যের রেকর্ড এখন পর্যন্ত লিভারপুলের। ছয় এবং সাতে বার্সেলোনা ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। অ্যাস্টন ভিলা আটে, নয়ে আটলান্টা। চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এলিমিনেশন জোনে পিএসজি।