নতুন আঙ্গিকে জমবে বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৩ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৫ পিএম
বিপিএল ২০২৫ সালের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। আজ বুধবার মিরপুরে ঘোষণা করা হয়েছে স্পন্সরের নাম— ছবি: আ. ই. আলীম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) আকর্ষণীয় করতে চান প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এমনটা জানানো হয়েছিল আগে। ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটির লোগো উন্মোচন ও স্পন্সরশীপ প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণার সময় আজ বুধবার বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গর্ভনিং কমিটির সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিমও দিয়েছেন আশ্বাস, নতুন আঙ্গিকে সাজবে বিপিএল। আসরে দর্শকদের সর্বপ্রকারের সুযোগ সুবিধা রাখার পাশাপাশি বিনামূল্যে পানির ব্যবস্থা করার বিষয়টিও জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
বিপিএলে ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের ভোগান্তির অন্ত নেই। মাঠের মাঝে খাবার নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং খাবারের উচ্চ মূল্যর সমালোচনাও হচ্ছিল বহুদিন। তবে এবার ওইদিক গুলোতে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছে আয়োজক কমিটি। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বরাবরের মতন এবারও দেশের তিন ভেন্যুতে হবে এই আসর। পুরো সময়ে মাঠে খাবারের মূল্য এবং দর্শকদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে কাজ করবে বিসিবি। মিরপুর শেরই বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে পরে নাজমুল আবেদিন বলেছেন, ‘আমি চাইব একজন দর্শক মাঠে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত কোনো হেনস্তার শিকার না হয়।’
বিসিবি পরিচালক খাবার ও পানির বিষয়টির দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন, ‘খাবারের দাম যেমন হওয়া উচিত তেমন যেন হয়। ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে শুরু করে পানি পান, এমনও হতে পারে পানির জন্য কোনো টাকাও দিতে হবে না। একজন দর্শক পরিবার পরিজন নিয়ে মাঠে এসে যেন নিজের মনে করতে পারেন পুরো আয়োজনকে। যেন তারা পরেরদিন আবার মাঠে আসার আগ্রহ পায়।’
স্টেডিয়ামের বাইরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর আশ্বাস দিয়েছেন ফাহিম। সেসঙ্গে টিকিট কিনতে হেনস্তা কমাতে ই-টিকেটিং এর কথা জানিয়েছেন, ‘স্টেডিয়ামের বাইরে এমনকি ঢাকার বাইরেও জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে। টিভিতেও যারা খেলা দেখবে তারা যেন ভালো কিছু দেখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। বলছি না এক আসরেই টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ডক্লাস হয়ে যাবে। কিন্তু আগের আসরের চেয়ে ভালো হবে। সামনের বছরগুলোতে আরও ভালো হবে বিপিএলের মান। এবারের বিপিএলে ই-টিকেটের প্রাধান্য থাকবে বেশি, ৮০-৮৫ শতাংশ।’
এছাড়া জমকালো উপস্থাপনে ব্র্যান্ডিংয়ে পেরিমিটার ও সাইড স্ক্রিনে স্ট্যাটিক বোর্ডের বদলে এলইডি বোর্ড স্থাপন করা হবে। যা বিশ্বের সেরা সেরা টুর্নামেন্টগুলোতে দেখা যায়। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির দেখা মিলবে। আসরের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। সাথে পাওয়ার্ড বাই ও কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে ব্যাংকটির দুটি গ্রাহকপ্রিয় সেবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস রকেট ও ই-ওয়ালেট নেক্সাসপে অ্যাপ। তবে জানা যায়নি টাকার অংক। বিশ্বের জমকালো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব থেকে পাওয়া অংক প্রকাশ করা হয় নিয়মিতই। এবার স্পন্সর মানি প্রকাশ করা না হলেও আয়-ব্যয়ের হিসাব বিসিবি দিতে পারে।