চ্যাম্পিয়নস লিগ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০ এএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৭ পিএম
মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে সময়টা বেজায় খারাপ যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের। রীতিমতো মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। মৌসুমের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’য় বার্সেলোনার কাছে ধসে যাওয়ার পর ব্যালন ডি’অর হাতছাড়া রিয়াল তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। সেসব ভুলতে রিয়াল মাদ্রিদের দারুণ একটি জয় ছিল ভীষণ দরকারি। মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তেমন এক জয় ছিনিয়ে নিতেই নেমেছিল রিয়াল। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে এসি মিলানের বিরুদ্ধে সেই ব্যর্থতার গল্পই লিখল মাদ্রিদের ক্লাবটি। ফের নিজেদের মাঠে বিধ্বস্ত হলো রিয়াল। মিলানের কাছে তারা অসহায় আত্মসমর্পণ করল ৩-১ গোলে। হোম গ্রাউন্ডে রিয়ালের টানা দুই হার, এমন বিপর্যয় যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ফুটবল অনুরাগীদের!
এ নিয়ে এবারের মৌসুমে রিয়াল হার মানল তিন ম্যাচ। অথচ গত মৌসুমে সব মিলিয়ে তাদের হারই মাত্র দুটি। ভ্যালেন্সিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেই মাঠে নামে রিয়াল। আর খেলা শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণে মেতে উঠে রিয়াল।
লড়াই আরম্ভ হতেই দুটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে সুযোগ দুটি মিস করেন কাইলিয়ান এমবাপে। রিয়ালের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত সময় কাটছিল যেন মিলানের। এ সময় অতিথিরা পাল্টা-আক্রমণে চেষ্টা করছিল শুধু। তবে সে সুযোগও মিলেছে খুবই কম।
তবে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছে মিলানই। লড়াইয়ের বয়স ১২ মিনিট হতেই মাদ্রিদকে চুপ করিয়ে দিয়ে লিড নেয় মিলান। কর্নার থেকে উড়ে যাওয়া বলে মাথা ছুঁয়ে জাল কাঁপান অতিথি ফুটবলার মালিক থিয়াও।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে আক্রমণ শাণিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নেয় স্বাগতিক রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পানেনকা শটে নিজের ক্লাবকে সমতাসূচক গোল উপহার দেন ভিনিসিয়ুস। প্রথম গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল মিলান। এ কারণে সাফল্যও পেতে থাকে মিলান। ৩৮ মিনিটে মাদ্রিদকে ফের হতাশায় ডুবিয়ে দেয় ইতালির জায়ান্ট ক্লাবটি। রাফায়েল লিয়াওয়ের শট শুরুতে রুখে দিয়েছিল রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। তবে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই জালে বল জড়ান আলভারো মোরাতা।
দারুণ এক আক্রমণে রিয়াল রক্ষণের দুর্বলতার ফায়দা লুটে তিজানি রেইনডার্স ব্যবধান বাড়িয়ে দেন মিলানের হয়ে। ভিনিয়ুস-এমবাপে জুটির ব্যর্থতায় ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল তখন রীতিমতো হতবাক!