২ উইকেটে জিতেছে অজিরা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৪ পিএম
ব্যাট হাতে বাবর আজমরা ব্যর্থ হয়েছিলেন, বোলিংয়েও মান রাখতে পারেননি সফরকারী দল— সংগৃহীত ছবি
ব্যাটিংয়ে ভালো সংগ্রহ আসেনি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের সামনে সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটি বোলিংয়ে পুষিয়ে নেওয়ার। কিন্তু বাগড়া হয়ে দাড়িয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। চাপে পড়া দলকে পথ দেখিয়েছেন, জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। ২ উেইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন অজিরা।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। অধিনায়ক রিজওয়ানের ৪৪ রান ও শেষ দিকে নাসিম শাহের ৪০ রানে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। তবে পঞ্চাশ ওভারের খেলায় জমা হয় মোটে ২০৩ রান। ছোট লক্ষ্য হলেও বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে অবশ্য চাপ কাটিয়ে জিতিয়ে ফিরেছেন কামিন্স। হারিস রউফ-শাহিন শাহদের তোপে ৮ উইকেট হারালেও জয়চ্যুত হয়নি অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার ব্যাটিংয়ে নেমে কামিন্স আর মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে ৪৬.৪ ওভারে গুড়িয়ে যায় পাকিস্তান। প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক ফেরেন দ্রুতই। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে খানিকটা দিশা পেলেও ইনিংস বড় হয়নি তাদের। বাবর ৩৭ ও রিজওয়ান ফেরেন ৪৪ রানে। দলীয় শতরান তুলতে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তারা দুই শ পর্যন্ত পৌঁছায় নাসিম শাহের ব্যাটে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে এই পেসার ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। বাকি লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাও শুধু সঙ্গই দিয়েছেন। স্টার্ক ও কামিন্স নেন ২টি করে উইকেট।
২০৪ রানের লক্ষ্য হেসেখেলেই জেতার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে তা হয়নি, ১৮৫ রান তুলতেই স্বাগতিকরা হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। পাকিস্তান যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তখন বাগড়া দেন কামিন্স। তার ৩১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অজিরা। স্বাগতিকদের দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫ ওভারে তোলে শতরান। স্মিথ ও ইংলিশের জুটিতে আভাস মিলছিল বড় জয়ের কিন্তু এই দুই ব্যাটার ফিরতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
স্মিথের ৪৪ ও ইংলিসের ৪৯ রানের পর ব্যর্থ হন মার্নাস লাবুশেন (১৬), অ্যারন হার্ডি (১০) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৩)। তবে কামিন্স পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন। স্বপ্ন ধুলোয় মিশিয়ে দেন। শেষ তিন উইকেটে যখন অজিদের দরকার ৪৯ রান, তখন শন এবটের (১৩) সাথে ৩০ ও নবম উইকেটে স্টার্ককে নিয়ে কামিন্স নিশ্চিত করেন জয়।