প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৮ পিএম
ঘরের মাঠে একবারই টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল ভারত। ২০০০ সালে স্বাগতিকদের
হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ভাসিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ তো দূরের
কথা, পরবর্তী দুই দশকেই কেবল একটি টেস্ট সিরিজ হেরেছিল তারা। অবশেষে স্বাগতিকদের ২৪
বছর হোয়াইটওয়াশ না হওয়ার কীর্তি তছনছ করে ইতিহাস গড়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের ভারতের হোয়াইটওয়াশের সিরিজটি
ছিল দুই ম্যাচের। এবার তাদের আরও বড় তিন ম্যাচের সিরিজে তিক্ত পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবিয়েছে
টম ল্যাথাম ব্রিগেড। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের স্পিনবান্ধব উইকেটে সিরিজের তৃতীয়
টেস্টে কিউইদের দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১২১ রানেই গুটিয়ে গেছে রোহিত শর্মা-বিরাট
কোহলির ভারত।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্ট জিতে ভারতের মাটিতে দীর্ঘ ৩৫ বছরের জয়ের
খরা কাটায় নিউজিল্যান্ড। এরপর পুনেতে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল সফরকারীরা।
এবার ভারতের মাটিতে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১৪৬ রান ডিফেন্ড করে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের
লজ্জায় ডুবিয়েছে কিউইরা। এই ওয়ানখেড়েতেই সর্বনিম্ন ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে
হারিয়েছিল ভারত।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ৯ উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল
নিউজিল্যান্ড। তবে কেবল ৮ বল খেলতেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৮ রানের লিড থাকায় ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৭ রানের। কিন্তু
সেই রানও কঠিন করে তুলে ২৫ রানে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছেন এজাজ প্যাটেল-গ্লেন ফিলিপসরা।
লক্ষ্য তাড়ায় ২৯ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় ভারত। রোহিতকে (১১) ফিরিয়ে
উইকেটের শুরু করেন পেসার ম্যাট হেনরি। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আউট হন শুভমান গিলও
(১)। এমন বিপদে বিরাট কোহলিও (১) দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। বিপদের ষোলোকলা পূর্ণ হয়
যশস্বী জয়সওয়াল (৫) ও সরফরাজ খান (১) মাত্র দুই বলের ব্যবধানে ফিরলে।
স্রোতের বিপরীতে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৪২ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে টানেন রিশভ পান্ত। তবে জাদেজার (৬) পর পান্তের (৬৪) বিদায়েই
শেষ হয়ে যায় আশা। এরপর কেবল কিউইদের ইতিহাস গড়ার মুহূর্তটি আসতে বিলম্ব হচ্ছিল। ১২১
রানে ভারতীয়রা অলআউট হতেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে যায়।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা
হয়েছেন মুম্বাইয়েই জন্ম নেওয়া কিউইদের বাঁ-হাতি স্পিনার প্যাটেল। সিরিজজুড়ে ব্যাট হাতে
দারুণ ধারাবাহিক উইল ইয়াং (২৪৪) হয়েছেন সিরিজসেরা। অথচ তিনি একাদশে ঢুকেছিলেন অভিজ্ঞ
ব্যাটার কেইন উইলিয়ামসনের ইনজুরিতে।