শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেমিতেই বিদায় বাংলাদেশের

আগের ম্যাচেই অলরাউন্ড নৈপূন্যে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু হংকং সিক্সেসের ২০তম আসরের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তিনি ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি। টাইগার অলরাউন্ডারের ব্যর্থতার দিনে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেমিতেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ১ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও লঙ্কানদের কাছে ১৮ রানে হেরেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল মুখোমুখি হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।

এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনার জিসান আলম বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট চালালেও অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪ বলে এক চার ও দুই ছক্কার মারে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর আরেক ওপেনার জিসান ১১ বলে ৩৬ রানে বিদায় নেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল একটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অন্য প্রান্তের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে সাইফউদ্দিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার ১২ বলে ২৩ রান করেন।

ইয়াসির আলী রাব্বি চৌধুরী গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে ফিরেছেন। ৬ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন আবু হায়দার রনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১০৩ রানে।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ২৫ রান তোলে তারা। ওপেনার স্যান্ডুন উইরাক্কোদি হাঁকান ৫ চার। দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজী রানবন্যা আটকাতে পারেননি। তিন ছক্কায় তার ওভারে রান উঠেছে ২১।

মাঝে জিসান মাত্র ৪ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল আরও ১৪ রান। এক বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

বাজে ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ২ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাইফউদ্দিন। আবু হায়দার রনি ও সোহাগ গাজীরা এক ওভারে দিয়েছেন ২০ রান করে।