প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪০ পিএম
জিতলেই সেমিফাইনাল, হারলে বাড়বে অপেক্ষা। এমন সমীকরণ নিয়েই এমএলএস কাপে ইস্টার্ন কনফারেন্সের দ্বিতীয় প্লে–অফে আটলান্টা ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। ডেভিড মার্তিনেজের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়েই ছিল মিয়ামি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ঝড়ে নাটকীয় হারে কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেল লিওনেল মেসিদের স্বপ্ন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) আটলান্টার মাঠ মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে ইন্টার মিয়ামি। ফলে তিন ম্যাচের প্লে–অফ সিরিজের শেষ ম্যাচটা এখন নকআউটে পরিণত হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বরের সেই ম্যাচে যারাই জিতবে, সেমিফাইনালের টিকিট কাটবে তারাই। এর আগে প্রথম প্লে–অফে ১-০ গোলে জিতেছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
এদিন মেসিদের খেলা উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৬৯ হাজার দর্শক। উন্মাতাল দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। এমনকি মিয়ামির গোলটিও আসে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলের সুবাদে। তবে ম্যাচে লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত মেসিরা হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। গত আগস্টে সর্বশেষ লিগস কাপের ম্যাচ হেরেছিল জেরার্দো টাটা মার্টিনোর দলটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে মিয়ামির প্রধান তারকা লিওনেল মেসি বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও ছিলেন গোল-অ্যাসিস্টহীন। তার একটি শট গোলবারে না লাগলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মতোই বিবর্ণ ছিলেন সাবেক উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজও। দারুণ এই জয়ে এখন সেমিফাইনালের আশা বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকল আটলান্টার। এখন শেষ ম্যাচে মেসিদের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের অপেক্ষা।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটের মাথায় দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল মিয়ামির সামনে। তবে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় আটলান্টা। ২২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ গড়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। কিন্তু ফিনিশিং ঠিকঠাক না হওয়ায় পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। ২৫ মিনিটে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি আটলান্টা।
২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে আটলান্টার আলেক্সেই মিরানচুকের দারুণ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন মিয়ামি গোলরক্ষক। ৪০ মিনিটে গোলরক্ষকের হাস্যকর ভুলে গোল খেয়ে বসে আটলান্টা। গোল কিক নিতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন মিয়ামির ফেদেরিকো রেডোন্ডোর পায়ে। আলতো পাসে রেডোন্ডো বল বাড়ান মার্তিনেজকে। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে গোল করে মিয়ামিকে এগিয়ে দেন এই সেন্টারব্যাক।
বিরতির পরপর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মায়ামির সামনে। যদিও গোলরক্ষকের সতর্কতায় বেঁচে যায় আটলান্টা। ৫৫ মিনিটেও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে মিয়ামি। তবে মিয়ামি না পারলেও ৫৮ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে আটলান্টা। ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ডেরিক উইলিয়ামস।
এরপর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই দলই। সহজ সুযোগও এসেছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে গোল পায়নি কোনো দলই। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে বাজিমাত করে আটলান্টা। দারুণভাবে গড়া দলীয় এক আক্রমণ থেকে বক্সের বাইরে বল পান শান্ডে সিলভা। অসাধারণ এক শটে গোল করে দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।