প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে নেপালের কাঠমান্ডুতে ২৩জন খেলোয়াড়সহ ৩২ জনের কন্টিনজেন্ট পাঠায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগিতকদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে পিটার জেমস বাটলারের দল। এরপর শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দলকে সংবর্ধনা দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রীয় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অবশ্য যোগ দিতে পেরেছেন কেবল ২৩ জন খেলোযাড়, প্রধান কোচ ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেন ৩২ জন থাকতে পারেননি সেটি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এর আগে ২০২২ সালে যখন সাফ জিতে মেয়েরা দেশে ফেরে তখনও সরকারে পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন সাফজয়ী দলের সব সদস্য। সেইসঙ্গে বাফুফের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন। এবার অবশ্য ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। যদিও বাফুফে নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এবং নারী উইংযের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণসহ কয়েকজন আছেন দেশের বাইরে। তবে দেশে থাকা সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান, সহসভাপতি আরও চারজন কিংবা নির্বাহী সদস্য কেউ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাননি। জানা গেছে তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রনই পাননি।
এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের গোলরক্ষক কোচ, ফিজিও, মিডিয়া ম্যানেজারসহ আরও ৭জন যেতে পারেননি প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। অনেকেই বলছেন তারাও তো চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। মেযেদের শিরোপা জয়ে তাদের অবদানও অস্বীকার করা যায় না। এমনকি ফুটবলে বাফুফের কর্তাদের ভূমিকাও অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। তারপরও কেন তাদের যাওয়ার সুযোগ হলো এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যার কাছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে তিনিও একজন। শনিবার বাফুফে ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদা বলেন, ‘আসলে এটা নিয়ে আমি স্যারের (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে কথা বলেছি যে কেন টিমের কোচ আর ম্যানেজার, বাকি সদস্যরা কেন নেই। তো এটা শুনে স্যার আমাকে বললেন কী সমস্যা তুমিই বলো। আমি বললাম স্যার আমি তো নিজেও জানি না। কেন আমাদের ২৫ জন এখানে আনা হয়েছে, আরও বাকি সদস্য ৬জন (যদিও ৭জন) নেই। এরপর তিনি ছয়জন কারা জানতে চেযেছেন। আমি বলেছি। স্যার বলেছেন যে এরপর বাকিদের নেওয়া হবে।’