প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৯ এএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৯ এএম
এভিন লুইস নিজেকে প্রমাণের জন্য যা করে দেখাচ্ছেন, তা যেকোনো সিনেমার থ্রিলারকেও হার মানাবে। তিন বছর ওয়ানডে দলের বাইরে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার। ফেরেন গত সপ্তাহে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। খেলেন ৬১ বলে ১০২ রানের অতিমানবীয় ইনিংস। তার ঝড়ের তাণ্ডবলীলা এখনও বহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার যা দেখা গেল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের বিপক্ষে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে সফরকারীরা তোলেন ২০৯ রান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ক্যারিবীয়রা পরিবর্তিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান ৫৫ বল হাতে রেখে।
ইংলিশদের রান তাড়ায় শুরুতে সাবধানে ব্যাট চালান ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইস। তবে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে জন টার্নারকে ৬ মেরে ঝড়ের আভাস দেন লুইস। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইংলিশ বোলারদের শাসাতে থাকেন। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৪৬ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।
১৫তম ওভারের সময় বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ থাকে এক ঘণ্টা। তখন স্বাগতিকদের রান ছিল ৮১। বৃষ্টি থাকায় ডিএল মেথডে ক্যারিবীয়দের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ১৫৭ রান। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেন দুই ওপেনার। তবে দলীয় ১১৮ রানে ব্যক্তিগত ৩০ রানে কিং ফেরেন। তার পথ অনুসরণ করেন লুইস। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরত্বে যাত্রা থামে তার। আদিল রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং-অফে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে খেলেছেন ৬৯ বলে ৯৪ রানের ইনিংস। যাতে ছক্কা ছিল ৮টি। বাকি পথ চলতে অসুবিধা হয়নি কার্টে ও শাই হোপের। ৫৫ বল হাতে রেখেই মাঠ ছাড়েন তারা।
এর আগে শাই হোপের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটু সুবিধা করতে পারেননি ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটার। ছোট ছোট দুয়েকটা জুটি ছাড়াও লিভিংস্টন ৪৮ রানের ব্যক্তিগত স্কোর গড়েন। যদিও সেটি ছিল ধীরগতির। এ ছাড়া জ্যাকব বেথেল করেন ২৭ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৪৫.১ ওভারে ২০৯ (লিভিংস্টোন ৪৮, কারেন ৩৭; মোতি ৪/৪১, সিলস ২/২২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : (লক্ষ্য ৩৫ ওভারে ১৫৭) ২৫.৫ ওভারে ১৫৭/২ (লুইস ৯৪, কিং ৩০; লিভিংস্টোন ১/৩২)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী (ডিএল মেথডে)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : গুদাকেশ মোতি।