প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:০৫ এএম
জেমস পিটার বাটলার
ট্রফি হাতে কোচ জেমস পিটার বাটলার, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, রুপনা চাকমা আর ঋতুপর্ণা চাকমা এগিয়ে এলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য! গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তখন বেজায় হুলুস্থুল। কে কার আগে ‘বাইট’ জোগাড় করবেন, তা নিয়ে তোড়জোড়। কোচ বাটলারকে কথা বলতে হলো মেগাফোনে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিমানবাহিনীর এক প্রভোস্ট এগিয়ে দিলেন মেগাফোন। সেটি হাতে নিয়ে ইংলিশ কোচ বাটলারকে কিছুটা আবেগপ্রবণ মনে হলো। কোচ শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের। বললেন, ‘এই শিরোপা বাংলাদেশের মানুষেরই।’
বাটলারের মতে, কাঠমান্ডুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যে ফুটবল বাংলাদেশের মেয়েরা খেলেছেন, তৃপ্তির জায়গা সেটিই, ‘বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে, তবে শিরোপা জেতাটা বড় কথা নয়, যে ধরনের ফুটবল মেয়েরা খেলেছে, সেটাই আনন্দের জায়গা।’
কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে অর্জিত শ্রেষ্ঠত্ব দুই বছর পর অক্ষুণ্ন থাকল পিটার জেমস বাটলারের কোচিংয়ে। কিন্তু শিরোপা জয়ের পর উৎসব আর উদযাপনের মধ্যে স্পষ্ট দ্বন্দ্বের ঝাঁজ। দলের ভেতরের উত্তেজনা অদৃশ্য হয়ে রয়ে গেছে ছাইচাপা আগুনের মতো।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে ট্রফি পেয়ে পুরো টিম ছবি তোলায় ছিল ব্যস্ত। কিন্তু ফটোসেশনে ছিলেন না কোচ পিটার বাটলার! মেয়েদের শিরোপা এনে দিয়েও ফ্রেমবন্দি হননি। কোচ দাঁড়িয়ে ছিলেন একটু দূরে। এ ছবিই বলে দিচ্ছে, দলের ভেতরে কোন্দলের স্রোত বইয়ে চলেছে শিরোপা সাফল্য ছাপিয়ে। মিশন শেষে কোচ পিটার বাটলারের কথার সুরেও মিলল তার আঁচ।
সবাই উৎসবে মাতোয়ারা। আপনি কেন উদযাপন থেকে দূরে? প্রশ্নটা করতেই বাটলার উগরে দেন নিজের মনের ভেতরে জমে থাকা অভিমান আর ক্ষোভ। দেন মেয়েদের দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আভাস, ‘এ ট্রফি মেয়েদের উপভোগ করতে দিন। আমার উদযাপনের দরকার নেই। এটা আমার শেষ ম্যাচ। এখন সংবাদ সম্মেলন আছে, আমাকে যেতে দিন।’