নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৯ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৫ এএম
এক, দুই, তিন...। এভাবে ছয়বার। হতাশার শুরুটা ২০১০ সাল থেকে। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে শিরোপার মঞ্চে ওঠে হিমালয় কন্যারা। ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেবার। ১৪ বছর বছর আরেকটি হতাশার দৃশ্য মঞ্চায়ন হয় কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায়। হাতের তালুর মতো চিরচেনা ভেন্যুতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে স্বাগতিকরা।
নেপালের পরাজয়ের গল্পের কাহিনি দৈর্ঘ্য-প্রস্তে বেশ লম্বা। ২০১০ এ উদ্বোধনী আসরে পরাজয়ের পরের আসরেও একই প্রতিদ্বন্দ্বীর হোঁচট খায় নেপাল। ২০১২ সালের সেই হারটি ছিল ৩-১ ব্যবধানে। গ্লানি ততদিনে বেড়েই চলে। সঙ্গে গোল হজমের সংখ্যাটাও।
ফাইনাল এলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে নেপালি মেয়েরা। ২০১৪ সালের তৃতীয় আসরে ৬-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। নেপাল আর পারিনি। একটা রীতির চক্করে পড়ে যায় তারা। পেয়ে বসে চোর্কাস খেতাব। ব্যাপারটা এমন, কষ্ট করে ফাইনালে ওঠ, আর মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়।
সাফের পরের তিন আসরে দুটোতেই নেপালের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। সবশেষ দুই আসরে সাবিনা খাতুনদের কাছে পরাজিত হয়ে চোর্কাস তকমা আরও পোক্ত করে তারা। ষষ্ঠ আসরে একই মাঠ দশরথে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এবার সেটা ২-১। পরাজয় আর গোলের পার্থক্য থাকতে পারে। তবে, নিয়তি তাদের একই হার।