নারী সাফ ফাইনাল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০৭ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১৬ পিএম
আক্রমন, প্রতি আক্রমণ; তাতে গোলের সুযোগ তৈরি করল দুই দলই। কিন্তু সুযোগের ফায়দা তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ ও নেপাল। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য গোল আদায় করে বাংলাদেশ। তহুরার পাস থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন মনিকা চাকমা। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। নেপালের আমিশা পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিট পরই নেপালকে ১-১ সমতায় ফেরান।
প্রথম মিনিটেই নেপালের গোলে শট তহুরার। তবে বল বেড়িয়ে যায় ডানপাস ঘেষে। তবে নেপালের গোলরক্ষকের ভুল গোলকিকে বক্সের সামনেই বল পেয়ে যান তহুরা। জোড়ালো শটে বারে লেগে ফিরে আসে বল। ফিরতি বল পেয়ে হেড দিয়ে সহজেই সেটি ধরে ফেলেন নেপালের গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে একই ভুল করতে বসেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। পরক্ষণেই অবশ্য বল ক্লিয়ার করেন তিনি। পঞ্চম মিনিটে নিজেদের ভুলে নিজেদের অর্ধ থেকে থ্রু পাস দিয়ে বল বের করেন নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। বিপদ বাড়তে দেননি রূপনা। পরের মিনিটে লেফট উেইং দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সাম্বা। বক্সের বামপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি ক্রস দিলে অবশ্য কোনো সতীর্থ খুজে পাননি তিনি। বল ক্লিয়ার করেন মাসুরা পারভীন।
নবম মিনিটে মারিয়া মান্ডার সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েন ঋতুপর্ণা চাকমা। নেপালি জটলার মধ্য থেকে অবশ্য গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতি আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণ কাপায় নেপাল। আতঙ্ক ছড়ান সাবিত্রা। তাকে আটকাতে রূপনা উঠে আসেন উপরে। বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারলে বল পেয়ে যান নেপালি ফরোয়ার্ড আমিশা। ফাকা গোলে শট নিলে এবার বারপোস্টে লাগায় গোলবঞ্চিত হয় নেপাল।
খেলার ২০ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখে নেপাল। মনিকাকে বাজেভাবে ফাউল করেন ম্যাচে প্রথম কার্ড দেখেন আম্রিতা। ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের বক্সে ফের আতঙ্ক ছড়ায় নেপাল। সরাসরি বক্সে নেওয়া লং থ্রো লাফিয়ে ধরতে চেষ্টা করেন রূপনা। বল পুরোপুরি গ্রিপ করতে ব্যর্থ হয়ে মাটিতে পরে যান বাংলাদেশি গোলরক্ষক। ডিফেন্ডারদের জটলার মধ্য থেকে ফাকা গোলের ফায়দা অবশ্য নিতে পারেনি নেপালি মেয়েরা। ২৮ মিনিটে সাবিত্রার দুর্দান্ত পাস থেকে প্রায় ফাকা জায়গা থেকে গোল গোলতে ব্যর্থ হন আমিশা। ২০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ফাউল করায় বিপদজনক জায়গায় ফ্রিকিক পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাম কোনা থেকে নেওয়া শট যায় বক্সের অনেকটা বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে ফাকা গোলপোস্ট পেয়ে বক্সের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন মনিকা।
বিরতির পরও আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ডেডলক ভাঙে ম্যাচের ৫২ মিনিটে। আক্রমণের সুর বেধে দেন সাবিনা, তহুরার পা ঘুরে বল যায় মনিকার কাছে। জটলার মধ্য থেকে আলতো টোকায় প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান এই ডিফেন্ডার। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
তিন মিনিট পরই নেপালকে ১-১ সমতায় ফেরান আমিশা। প্রীতির থ্রু পাস বাংলাদেশের ডিফেন্স ভেদ করে বেরিয়ে গেলে রূপনাকে পরাস্ত করে বাংলাদেশের জাল কাপান আমিশা। ম্যাচে একাধিকবারই এই ফরোয়ার্ড বাংলাদেশের রক্ষণ কাপান। সাবিত্রাকে নিয়ে অতি সাবধানি বাংলাদেশের রক্ষণের সুযোগ নেন আমিশা। শেষ পর্যন্ত এই ফরোয়ার্ডই নেপালকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল।
৬১ মিনিটে সাবিত্রার ভুলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। লং পাস পেয়ে অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড একাই এগিয়ে যান বল নিয়ে। তার গতির কাছে পরাস্ত হয় বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। আগুন্তুক গোলরক্ষক রূপনাও হন পরাস্ত; তবে সাবিত্রা কোনাকুনি শট যায় গোলের ডানপাস ঘেষে।