প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৮ পিএম
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৫ পিএম
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ
নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিসিবিকে নিজের সিদ্ধান্তটা ইতোমধ্যে জানিয়েও দিয়েছেন। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ দিয়েছে এমন খবর। তবে এখনো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দুবাইয়ে আইসিসির সভা শেষে ওমরাহ করতে গেছেন। তিনি দেশে ফিরবেন আজ-কালের মধ্যে। বোর্ড সভাপতি দেশে ফিরলেই শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে অন্য কারোর কাঁধে।
অধিনায়কত্ব থেকে শান্তর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতেই শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছে? দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের গুঞ্জন- এক অধিনায়কের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না বাংলাদেশ। বোর্ড বেছে নিতে পারে দুই অধিনায়ককে। টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণের দায়িত্ব বর্তাতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর। আর টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেতে পারেন তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাসও।
অধিনায়ক শান্তর ব্যাট হাতে মাঠের পারফরম্যান্স মোটেই ভালো যাচ্ছে না। কিছুতেই কাটাতে পারছেন না রানখরা। হাসি ফেরাতে পারছেন না হাতের ব্যাটে। সবশেষ খেলা ৩২ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন মাত্র একটি। নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতেই সরে দাঁড়াতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। শান্তর প্রতিভা নিয়ে সব সময় আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফিরলেও সেই সুখস্মৃতি মিলিয়ে গেছে দূর দিগন্তে। ভারত সফর থেকে ধবলধোলাই হয়ে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে দেশের ক্রিকেটাররা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংসে শান্তর স্কোর- ৭ ও ২৩। এ কারণে সমালোচনার সাগরে যেন ভেসে চলেছেন টাইগার অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন শান্ত। এই বিষয়টাও তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজ শেষে শান্ত ছেড়ে দিতে চান বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব। বোর্ডের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা ক্রিকবাজের কাছে এই খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘হ্যাঁ, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর তিনি আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চান না বলে জানিয়েছেন।’
শান্ত নিজেও নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্রিকবাজকে বলেন, ’দেখা যাক কী হয়, কারণ এখনো (বোর্ড) সভাপতির কাছ থেকে কোনো কিছু শুনিনি।’ গত ১২ ফেব্রুয়ারি তিন সংস্করণেই অধিনায়ক হন শান্ত। এরপর থেকে তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে লাগে ভাটার টান। তার আগে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে বেশ কিছু ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তারকা এ টাইগার ব্যাটার।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের এ বৈশ্বিক আসর শেষেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ক্রিকবাজ জানিয়েছে এমনটা। এবার সিদ্ধান্ত পাল্টে তিন সংস্করণ থেকেই অধিনায়কত্বই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।