প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৩৮ পিএম
হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন চারিথ আসালাঙ্কা
লঙ্কান ঘূর্ণি জাদু আর পেস ঝড়ে ৫৮ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে শেরফান রাদারফোর্ড (৮০) বিস্ময়কর প্রতিরোধ গড়েন। সতীর্থ গুদাকেশ মোতিকে (৫০*) নিয়ে লড়াকু স্কোরই দাঁড় করান। নবম উইকেটে দুজনের ১১৫ বলে ১১৯ রানের পার্টনারশিপে ক্যারিবিয়ানরা পায় ১৮৯ রানের পুঁজি। রাদারফোর্ড-মোতির ব্যাটিং দৃঢ়তায় মান বাঁচলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পাল্লেকেলের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ৫ উইকেটে। এবং সেটা ৩৪ বল হাতে রেখেই। প্রথম ওয়ানডেতে ডিএলএস মেথডে ৫ উইকেটেই জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। সে সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলেছে লঙ্কানরা।
বৃষ্টির হানায় খেলা মাঠে গড়ায় একটু বিলম্বে। ম্যাচের পরিধি কমে আসে ৪৪ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কান বোলারদের স্পিন বিষে নীল হতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় স্কোরে ৩১ রান যোগ হতেই ৪ উইকেট নাই হয়ে যায় শাই হোপদের। উইকেট ছিনিয়ে নেওয়ার উৎসবের সূচনা হয় স্পিনার মহীশ তিকাশানা ও পেসার আসিতা ফার্নান্ডোর হাত ধরে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্পিন অলরাউন্ডার ভানিন্দু হাসারাঙ্গাও। এই তিন বোলারের আগুনে বোলিংয়ে ৫৮ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে ফেলে অতিথিরা।
পরে লঙ্কান বোলারদের শাসন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০০ রান সংগ্রহের আভাসও দেখিয়েছিলেন রাদারফোর্ড ও মোতি। রাদারফোর্ড ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৮০ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরলে ছেদ পড়ে তাদের জুটিতে। তাতে দুইশর আগেই থামতে হয় উইন্ডিজদের (১৮৯)। মোতি অপরাজিত থেকে যান ৫০ রানে। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৩টি করে উইকেট পান তিকশানা ও ফার্নান্ডো।
লঙ্কান ব্যাটারদের কোনোভাবেই বেকায়দায় ফেলতে পারেননি উইন্ডিজের বোলাররা। দলীয় ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিকটা শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। পরে ক্যাপ্টেন চারিথ আসালাঙ্কার হার না মানা ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ উইকেটের বিনিময়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। তার সঙ্গে নিশান মাদুশকা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩৮ রান করে এলে আসে অনায়াস জয়। নিয়ম রক্ষার শেষ ওয়ানডে পাল্লেকেলেতেই দুদল মাঠে গড়াবে আগামী শনিবার।