মিরপুর টেস্ট
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৩ এএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১২ পিএম
এশিয়ার মাটিতে ১০ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট জয়। ছবি : আ. ই. আলীম
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অল্পতেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টাইগাররা। তাতে ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে লিডও পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ছোট পুঁজি নিয়ে বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারলেন না বোলাররা। তাইজুল ইসলাম ৩ উইকেট তুলে নিলেও এশিয়ার মাটিতে দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রথম টেস্ট জয় করল প্রোটিয়ারা।
মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে কাইল ভেরাইনের সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছেন সফরকারীরা।
অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাটিং করেছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। ৪২ রানের সেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বলটি ভালো লেংথে করেছিলেন তাইজুল। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেশ খানিকটা টার্ন করে মার্করামের স্টাম্প উপড়ে দেয় বল। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ২০ রান করেছেন মার্করাম।
আরেক ওপেনার জর্জিকেও ফিরিয়েছেন তাইজুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এ তরুণ থেমেছেন ৪১ রানে। এরপর ডেভিড বেডিংহামও তাইজুলের ঘূর্ণিতেই আটকে গেছেন। লিটনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ১২ রান। বেডিংহাম ফেরার পর বাকি পথটা নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও রায়ান রিকেলটন। স্টাবস ৩৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম হাসান। কাগিসো রাবাদার নিচু হয়ে আসা ইনসুইং ডেলিভারি সরাসরি পায়ে আঘাত হানলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ১৬ রান। এ উইকেট নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা।
১০-এ নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। ৭ বল খেলে ৭ রান করেছেন তিনি। মুল্ডারের বলে স্ট্রাবসের হাতে ধরা পড়েছেন তাইজুল। শেষ উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তোলায় মন দেন মিরাজ। তবে ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। দুর্দান্ত খেলে কাছাকাছি এসেও সেঞ্চুরি না পাওয়াটা নিশ্চিতভাবেই পোড়াবে মিরাজকে।