প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৮ এএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১২:০৪ পিএম
ভিনিসিয়ুসের গোলের উচ্ছ্বাস
এ যেন প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য গল্প! যেন ঘুরে দাঁড়ানোর রূপকথার এক কাহিনী! ম্যাচের বয়স ১ ঘণ্টা হলেও ২ গোলেই পিছিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু পরে পাল্টে যায় লড়াইয়ের চিত্রনাট্য। বাকি গল্পটা কেবলই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের গোল উৎসবের। যে দল গোলের দেখাই পাচ্ছিল না, সেই তারাই আদায় করল ৫টি গোল। তাতেই যবনিকা ঘটে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আধিপত্যের। গোলবন্যা শেষে কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের হাতে জয়টা ধরা দিয়েছে ৫-২ ব্যবধানে।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দারুণ কিছুই করতে চাচ্ছিল ডর্টমুন্ড। লক্ষ্যে অবিচল থেকে ৩৪ মিনিটের মধ্যে রিয়ালের জালে তারা ২ গোল দিয়েও ফেলে। কিন্তু সেই ডর্টমুন্ড ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিটে নিজেরাই হজম করে ৫ গোল! লড়াইয়ের ৬০ মিনিট থেকে ইনজুরি টাইমের ৩ মিনিট পর্যন্ত ৩৩ মিনিটেই রীতিমতো ৫ গোলের ঝড় বইয়ে দেয় রিয়াল।
দারুণ এক হ্যাটট্রিক পারফরম্যান্সে ঝলক উপহার দেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তার সঙ্গে স্কোরশিটে ১টি করে গোল যোগ করেন আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজও। গত মৌসুমে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালিস্টরা ফের মুখোমুখি হলো। বার্নাব্যুতে সেই ফাইনালের পুনর্মঞ্চায়ন হলো টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে। ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ তো নেওয়া হলোই না। উল্টো বড় হারের তেতো স্বাদ হজম করে ফিরল অতিথি জার্মান ক্লাবটি।
রিয়ালের প্রত্যাবর্তনের নায়ক বনে গিয়ে ব্যালন ডি’অর জয়ের দাবীটা ফের জোরাল করলেন ভিনি। তবে মাদ্রিদের জায়ান্ট ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযাত্রাটা শুরু করেছিলেন রুডিগার, ম্যাচের ৬০ মিনিটে গোল উপহার দিয়ে। তার আগে ৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন ও ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায়। ঘুরে দাঁড়াতে রিয়াল মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণায়। আক্রমণের তোড়ে নাস্তানাবুদ ডর্টমুন্ড রক্ষণের চিড় গলে প্রথম গোলটা পায় কিলিয়ান এমবাপে-রুডিগারের জুটিতে। এমবাপ্পের ক্রস থেকে উড়ে যাওয়া বলে মাথা ছুঁয়ে ব্যবধান কমান রুডিগার। মিনিট দুই পরই ভিনি এনে দেন সমতাসূচক গোল। শুরুতে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালেও পরে ভিএআর জানায় গোলের সিদ্ধান্ত।
লড়াইয়ের ৭ মিনিট হাতে রেখেই লুকাস ভাসকেজের গোলে লিড পায় এবার রিয়াল। পরের অংশে ভিনি-ঝলকে শুধু ঝলছে গেছে ডর্টমুন্ড। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন ভিনিসিয়ুস। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে উঠে যান। শেষে বক্সের বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান ভিনি। এতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান এ তারকা। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যান হ্যাটট্রিকের দেখাও। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেও রিয়ালের জার্সিতে সব মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক পারফরম্যান্স।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে ধরাশায়ী করে ফুটবল অনুরাগীদের চমকে দিয়েছে স্টুর্টগার্ট। পিছিয়ে পড়ে পিএসজি ১-১ গোলে হোঁচট খেয়েছে আইন্দহোফেনের সঙ্গে, আর্সেনাল ১-০ গোলে হারিয়েছে শাখতার দোনেৎস্ককে। আর বলোনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে অ্যাস্টন ভিলা।