প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৩ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৫ পিএম
মিরপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ছবি: আ. ই. আলীম
কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, উইকেট পড়ে বোঝা এবং সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতাÑ স্পিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম টেস্টের আগে অনুশীলনের শেষ দিন ছিল আজ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে নিজেদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন সফরকারী দলের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আজ মিরপুর শেরেবাংলায় ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলেনে কথা বলেছেন তার দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে।
টি-টোয়েন্টি-ওয়ানডে পারফরম্যান্স তো বটেই, সাদা পোশাকের লড়াইয়েও প্রোটিয়াদের
চেয়ে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে স্পিনে দুর্বলতা এবং গত ১০ বছরে উপমহাদেশে টেস্ট সিরিজ
জিততে না পারার ব্যর্থতার বিষয়টি প্রোটিয়াদের জন্য হয়ে আছে গলার কাঁটা। সেই সঙ্গে আফ্রিকার
যে দলটি বাংলাদেশে এসেছে, তা অনেকটাই আনকোরা। সফরকারীদের স্কোয়াডে ৪-৫ জন ছাড়া বেশিরভাগই
তরুণ। উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তাই সিরিজে প্রোটিয়াদের জন্য
চ্যালেঞ্জ কন্ডিশন ও স্পিন। মার্করামও সেটা জানেন। তিনি বলেন, ‘স্পিন স্বাভাবিকভাবেই
সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। কারণ আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছি। আমরা এ ধরনের কন্ডিশনে
খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। আমাদের জন্য নতুন ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।’
টেম্বা বাভুমা ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা এই দক্ষিণ
আফ্রিকা দলের কারও নেই। চোটের কারণে তিনিও দলের বাইরে। হয়তো দ্বিতীয় টেস্টে দেখা যেতে
পারে বাভুমাকে। মিরপুরের মাটিতে অনভিজ্ঞ এই দলের যাত্রাটা কিছুটা বন্ধুর হতে যাচ্ছে
বলে মনে করেন মার্করাম, ‘এই দলটা বেশ তরুণ ও উপমহাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাও কম। যেকোনো
ক্রিকেটার এ ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে থাকবে। আমরাও এই সিরিজ খেলতে মুখিয়ে আছি,
যা ভবিষ্যতে আমাদের উপমহাদেশ সফরেও কাজে লাগবে।’ তবে মিরপুর ও এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে
যা জানার, তার জন্য কেশব মহারাজ দলকে খুবই সাহায্য করছেন।’ এই বাঁহাতি স্পিনারের বিপিএলে
খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছিলেন।
কন্ডিশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য তিনিই দলকে দিচ্ছেন বলে জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক, ‘কেশব
খুবই স্মার্ট ও অভিজ্ঞ একজন। ছেলেরা তথ্যের জন্য তার কাছে যাচ্ছে, কথা বলছে।’
একে তো তারুণ্যনির্ভর দল, তার সঙ্গে অচেনা কন্ডিশন। সমস্যা উত্তরণে
সফরের আগে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঢাকায় পা দিয়েও কঠিন অনুশীলন
করেছে সফরকারীরা। তিন দিনের অনুশীলন শেষে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন,
‘প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। এখানে দুই দিন অনুশীলন করলাম। কন্ডিশন যেমন প্রত্যাশা করেছিলাম,
ঠিক তেমনই। আর আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেটা দারুণ। এখানকার সবাই আমাদের
সাহায্য করছে। হোটেল খুব উপভোগ করছি। আর ক্রিকেটের দিক থেকে প্রস্তুতি বেশ ভালো হচ্ছে।
দেশে ভালো ক্যাম্প করে এসেছি। দল হিসেবে আমরা ভালো জায়গায় আছি। এখন মাঠে নামতে মুখিয়ে
আছি।’
নিজ দলের চ্যালেঞ্জ-মোকাবিলার পাশাপাশি সাকিব ইস্যুতে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের সম্মুখীন হন মার্করাম। ৩০ বছর বয়সি ব্যাটার বরাবর বাউন্স ছোড়া হয়, ‘সিরিজে
সাকিবকে মিস করবেন?’ প্রতি উত্তরে মার্করাম ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা হাঁকান,
‘আমরা তাকে মিস করব না (হাসি)। কারণ, সে খুবই ভালো ক্রিকেটার। তবে সাকিব ছাড়াও ওদের
দলটা বেশ শক্তিশালী। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা কঠিনই হতে যাচ্ছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘সাকিব
না থাকলেও বাংলাদেশের অনেক যোগ্য স্পিনার আছে। কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে অবশ্যই। আর
ওই চ্যালেঞ্জটা নিতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ‘স্পিন’ ও কন্ডিশন। আর টাইগারদের
মন ভাঙার কারণ নিশ্চয়ই অতীত রেকর্ড। তবে এটা ঠিক তারুণ্যের লড়াই দেখা যাবে মিরপুরে।