বাফুফে নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:০৬ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:২৭ পিএম
সরে দাঁড়ালেন তরফদার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইমরুল হাসান। সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)
নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর। এবারের নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের সভাপতি হওয়াটা এক অর্থে
সময়ের ব্যাপার। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিনিয়র সহসভাপতির পদ। এই পদে মনোনয়ন নিয়েছিলেন
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান এবং তরফদার রুহুল আমিন। তবে রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের
শেষদিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তরফদার। তাতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিত হচ্ছেন ইমরুল হাসান।
নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ানো
তরফদারের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা
দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবারও বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন
না করার ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন। তবে এবারও
সেই একই দৃশ্যÑ সরে দাঁড়ালেন তরফদার।
রবিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে রুহুল আমিনের
প্রতিনিধি প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। সেখানে তিনি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঁচটি
কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহারপত্র দেন। বাফুফে নির্বাচনী বিধিমালায় নির্বাচন-সংক্রান্ত সব
আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর করতে হয়। ফলে তরফদার রুহুল আমিনের প্রত্যাহারের
আবেদন যথাযথ হয়নি। এরপর তাকে ভুল সংশোধন করার জন্য বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় দেন নির্বাচন
কমিশন। পুনরায় আবেদন এলে সেটি গ্রাহ্য হলে তরফদার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
হলে ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
তরফদারের ওই নাটকের পর নির্বাচন কমিশন
ব্যালট নম্বরসহ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সভাপতি পদে তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন
২ নম্বর ব্যালট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল ফুটবল নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা
কোচ এএফএম মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ১ নম্বর ব্যালট। সিনিয়র সহসভাপতি পদে একক প্রার্থী
ইমরুল হাসান।