২০১৪ বিশ্বকাপ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৮ পিএম
পূর্ব ও পশ্চিম- দুই দেশ একত্রিত হওয়ার পর থেকে কোনবারই বিশ্বকাপ জয় করা হয়নি জার্মানির। প্রতিবারই ফেভারিট তকমা নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা অধরাই থেকে গিয়েছে। আরাধ্য বিশ্বকাপ জার্মানির ঘরে যায় ২০১৪ সালে ফিলিপ লামের হাত ধরে।
জার্মানির সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন লামের জন্ম ১৯৮৩ সালের ১১ নভেম্বর। ১১ বছর বয়সে বায়ার্ন মিউনিখের জুনিয়র দলে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় তার ফুটবল ক্যারিয়ার। ধীরে ধীরে মূল দলে জায়গা করে নিতে সময় নেননি। জার্মান যুব দল থেকে জাতীয় দলে অভিষেক হয় ২০০৪ ইউরোতে। গ্রুপ স্টেজ থেকে জার্মানি বাদ পড়লেও তিন ম্যাচেই দারুণ খেলে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইনজুরি সত্ত্বেও দলে ছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বাদ পড়লেও টুর্নামেন্ট বেস্ট এলিভেনে নাম ছিলো ফিলিপ লামের।
২০১০ বিশ্বকাপে নিয়মিত অধিনায়ক মাইকেল বালাকের অনুপস্থিতির কারণে অধিনায়ক করা হয় ফিলিপ লামকে। স্পেনের কাছে সেমিফাইনালে হেরে সেবারও বিদায় নেয় স্পেন। ২০১৪ সালে যেন বিশ্বকাপ জয়ের পণ করে ব্রাজিলে আসে জার্মানি। গ্রুপ পর্ব ও রাউন্ড অব সিক্সটিন পার করে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নেয় ফিলিপ লামের দল। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হয়েও মাঝ মাঠ সামলেছেন নিয়মিত। যোগ্য অধিনায়কের মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। সেমিফাইনালে জামার্নি মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ব্রাজিলের। আর এই ম্যাচকে বলা হয় বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা অঘটনের ম্যাচ। ব্রাজিলের জালে জার্মানি সেদিন দিয়েছিলো একে একে সাতটি গোল। ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয় তারা। পুরো ম্যাচজুড়ে মেসিকে খোলস বন্দি করে রাখার চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন লাম। ফলে গোল শুন্য ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের শেষ পর্যায়ে একমাত্র গোলে চতুর্থ বিশ্বকাপের দেখা পায় জার্মানি।
২০১০ বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার ঘোষণা দেন ফিলিপ লাম। জার্মানির হয়ে ১১৩ ম্যাচে ৫টি গোলও করেন তিনি।