প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২২ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে একটা বিষয় নিয়ে সরব ছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। ইএসপিএন ক্রিকইনফো থেকে শুরু করে, বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম ছিলÑ নতুন ভারত বনাম অভিজ্ঞ বাংলাদেশ। এই সিরিজ শুরুর আগ পর্যন্ত ভারত স্কোয়াডের অভিজ্ঞতায় ছিল ৩৮৯ ম্যাচ আর সেখানে বাংলাদেশ স্কোয়াডের ঝুলিতে ৬৪৪ ম্যাচ। সরল অঙ্কের হিসাবে ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বাংলাদেশ দল। অথচ বাস্তবে দেখা গেল, স্বাগতিকদের সামনে ন্যূনতম প্রতিরোধটুকুও গড়তে পারেনি টিম টাইগার্স। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা।
ভারতের এই টি-টোয়েন্টি দলটা কতটা নতুন এটা অনুধাবন করতে একটি তথ্যই যথেষ্ট। এ বছরে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলটিতে প্রায় কেউ নেই। অবসর ও বিশ্রাম মিলিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি দল মাঠে নামিয়েছে স্বাগতিক ম্যানেজমেন্ট। মাঠে একটিবারের জন্যও মনে হয়নি কোনো বিভাগেই (ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং) স্বাগতিকদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পেরেছে দ্বিগুণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বাংলাদেশ। স্কিল, দক্ষতা, সামর্থ্য থাকলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি যে কোনো ব্যাপারই নয়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে এ সময়ে মারাকাটারি ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই দেশটি।
ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল এককথায় অদ্ভুতুড়ে। প্রথম দুই ওভারে বিদায় নেন দুই ওপেনার। চার মেরে শুরু করা লিটন দাস হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন পরের বলটাই। পরের ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন (৯)। পতনের মিছিল চলতেই থাকে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ৭৫/৬। এ অবস্থায় সফরকারীরা আদৌ শতরান পাবে কি নাÑ তা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের দৃঢ়তায় শতরানের নিচে চাপা পড়ার লজ্জা এড়ায় টিম টাইগার্স। ২০ ওভার খেলতে পারেনি শান্তরা। স্কোরবোর্ডে পুঁজি সাকল্যে ১২৭ রান। অর্থাৎ বোলিংয়ে আসার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হার।
ম্যাচ শেষে নিজেদের সামর্থ্যের অভাবকে আড়াল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ভাষায়, আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি, তখন ১৪০-১৫০ রানের উইকেটই হয়। ওই রানটা কীভাবে করতে হয়, আমাদের ব্যাটাররা সেটা জানে। কিন্তু আমরা জানি না কীভাবে ১৮০ করা যায়? ওই ধরনের উইকেট অনুশীলন করলে হয়তো আমাদের আরেকটু উন্নতি হবে। তবে আমি শুধু উইকেটের দোষ দেব না। এখানে মানসিক অনেক ব্যাপার থাকে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের শ্লথ উইকেট, ব্যাটারদের মানসিকতাÑএ বিষয়গুলো যে টি- টোয়েন্টি ফরম্যাটের ব্যাটিংয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটাই স্মরণ করিয়ে দিলেন টাইগার অধিনায়ক। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৩০-১৪০ এর দল যত অভিজ্ঞই হোক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পৌনে দুইশ-দুইশ রানের নাগাল পাবে নাÑএটাই চূড়ান্ত বাস্তবতা।